২১ জুলাই, তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের দিন কোথায় থাকবেন দিলীপ ঘোষ তা নিয়ে চর্চা গত কযেকদিনে কম হয়নি বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজ্য বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কী করতে চলেছেন সেটাই ছিল সবার প্রশ্ন। তবে রবিবার রাতেই পরিষ্কার উত্তর মেলে এই সব প্রশ্নের। আর তা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ স্বয়ং।
সোমবার খড়গপুরে ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা‘র আয়োজন করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই দিন তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস‘ পালনের পাল্টা হিসেবে দিলীপ ঘোষ এই সভার ডাক দিয়েছেন।তাঁর প্রথম নির্বাচিত এলাকা খড়গপুরে মূলত বিজেপির আদি কর্মীদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খড়গপুরের গিরি ময়দানে বেলা ৩টেয় শুরু হবে এই সমাবেশ। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তৃণমূলের হাতে নিহত বিজেপির আড়াইশোর বেশি কর্মীর স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। একই দিনে উত্তরবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যুব মোর্চার ‘উত্তরকন্যা অভিযান‘ কর্মসূচি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিলীপের নিজস্ব উদ্যোগের এই সভা রাজনৈতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২১ জুলাই দিলীপকে কোন মঞ্চে দেখা যাবে, তা নিয়ে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরেই নানা জল্পনা চলছিল। দিলীপ নিজে বলেছিলেন, ‘২১ জুলাই কোনও না কোনও মঞ্চে তো আমাকে দেখা যাবেই। উত্তর ২১ জুলাইতেই পেয়ে যাবেন।‘ কিন্তু ১৮ জুলাই বঙ্গে মোদির সফরের দিন নড্ডার ডাকে দিলীপ দিল্লি রওনা দেওয়ায় সে সব জল্পনায় সেদিনই অনেকটাই যে জল ঢালা হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরপর দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে দিলীপ যখন জানিয়ে দেন যে, ২১ জুলাই খড়গপুরে সভা করবেন, তখন-ই যাবতীয় গুঞ্জনে ইতি পড়ে।
এদিকে রবিবার তাঁর সাংগঠনিক জীবনের শিকড় হিসেবে পরিচিত আরএসএসের শাখায়ও দেখা যায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে।নিউ টাউনে আরএসএসের বার্ষিক ‘গুরুদক্ষিণা‘ কর্মসূচিতে রবিবার সকালে যোগ দেন দিলীপ। সুতরাং দলের সংগঠনিক কাজের পাশাপাশি আদি কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও একটা এগিয়ে গেলেন সে কথা বলাই বাহুল্য। আদি কর্মীদের একত্রিত করে দিলীপ ঘোষ নিজের নির্বাচনে ক্ষেত্রে কতখানি শক্তি প্রদর্শন করতে পারে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। আর এটাও স্পষ্ট হল, দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে সক্রিয় হচ্ছেন দিলীপ।