অগাস্টের শেষে এমন দুঃসংবাদ আসতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেননি দীপঙ্কর দে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫২ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমালেন দীপঙ্করের বড় মেয়ে বৈশালী কুরিয়াকোস। এরপর থেকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা। তবে পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী দোলন রায়। কয়েক বছর আগেই বিয়ে করছেন দীপঙ্কর-দোলন। তবে বহু বছর ধরে সংসার পেতেছেন তাঁরা। কন্যা হারা পিতা সম্পর্কে দোলন জানান, ‘মেয়েকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কষ্টে রয়েছে ও। আমিও শ্যুটিং থেকে ছুটি পাচ্ছি না। আপাতত ও সিরিয়ালে কাজ করছে না। এই কদিন কোনও কাজ করেনি। বাড়িতেই থেকেছে। মানুষটাকে দেখে খারাপ লাগছে। ‘দাবাড়ু’-র শ্যুটিং শুরু হলে কাজের মধ্যে ডুবে থাকবে। তবু কিছুটা ভালো ওর জন্য।’
পাশাপাশি কয়েকটা দিন শহরের বাইরে কোথাও যেতে চান দোলন এবং দীপঙ্কর। দোলন এও জানান, ‘যদি কয়েকটা দিন ও একটু ঘুরে আসতে পারে তাহলে ভালোই হয়।’ এদিকে দীপঙ্করের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রেও খবর, বৈশালীর চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পাচ্ছেন না দীপঙ্কর।
উল্লেখ্য, বৈশালী কুরিয়াকোস হৃদরোগে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দীপঙ্কর কন্যা। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বৈশালী। মেয়েকে হারিয়ে দীপঙ্কর বলেছিলেন, কথা বলার মতো অবস্থায় তিনি নেই। বৈশালীর স্বামী অনিলও টলিউডের সঙ্গে যুক্ত। দীপঙ্কর কন্যার আচমকা প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।