স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভ চৌধুরী গ্রেফতারের পর রবিবার ভোররাতে গ্রেফতার হন আরও দুই পড়ুয়া। একজন দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ। দুই অভিযুক্তের পরিবারের কাছে ইতিমধ্যেই সেই খবর পৌঁছে গিয়েছে। তবে দীপশেখরের বাবা-মা কিন্তু সৌরভের বাবা মায়ের পথে হাঁটছেন না। তাঁরা চাইছেন দোষ করে থাকলে তবে তার শাস্তি পাওয়া উচিত।
দীপশেখরের বাবা মধুসূদন দত্ত জানান, ‘র্যাগিংয়ের ব্যাপারে ছেলে কোনওদিন বলেনি। কিন্তু ছেলের চেহারা দেখে বোঝা যেত র্যাগিং হয়েছিল। তবে এই সবের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওরা জেনে শুনেও কোনও পদক্ষেপ করেনি। প্রকৃত দোষী শাস্তি পাক। আমার ছেলে হলেও সে শাস্তি পাক। আজ যদি আমার ছেলের সঙ্গেও এই একই কাজ হত, তাহলে আমিও চাইতাম দোষীদের যেন শাস্তি হয়।’
অপরদিকে, দীপশেখরের মা সঙ্গীতা দত্ত বলেন, ‘আমি চাই সঠিক তদন্ত হোক। দোষীরা যেন শাস্তি পায়। একটা মায়ের বুক থেকে ছেলে চলে গিয়েছে। তার কী কষ্ট আমরা বুঝি। আর যেন এই জিনিস না হয়। আর র্যাগিং তো যাদবপুরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে।’ সঙ্গীতা দেবী এও বলেন, ঘটনার দিন দীপশেখর তাঁকে ফোনে জানিয়েছিলেন যে স্বপ্নদীপকে র্যাগিং করা হয়েছে। পুলিশের কাছে লিখিত একটি অভিযোগ জানাবেন বলেও ঠিক করেছিলেন তাঁর ছেলে। সঙ্গীতা দত্ত বলেন, ‘আমি ওকে বললাম এই সব আইনি ঝামেলায় না জড়াতে। এখন পুলিশই ওকে ফাঁসিয়ে দিল।’ উল্লেখ্য, ধৃত দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। বাবা মধুসূদন দত্তর জমি-জায়গার কারবার রয়েছে। মা গৃহবধূ। বাঁকুড়ারই বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা দীপশেখরের। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর অর্থনীতি নিয়ে দ্বিতীয়বর্ষে ভর্তি হন তিনি।