হাইকোর্টে অস্বস্তি বাড়ল কাঁথি পুরসভার সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান সুবল মান্নার। তৃণমূলের সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তাঁর দলেরই ১৬ জন কাউন্সিলর। সোমবার এই অনাস্থা প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। এদিকে এরইমধ্যে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের শরনাপন্ন হন সুবল মান্না। সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার শুনানিও হয়। বিচারপতি জানান, এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ নয়। কারণ, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আস্থা ভোট হয়ে গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানান বিচারপতি। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী বুধবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সুবল মান্না। শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলেও সম্বোধন করেন প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সুবল মান্নার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দলের মধ্যেই। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরাতে আনা হয় অনাস্থা। ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর মহকুমা শাসকের দরবারে এ নিয়ে চিঠি দেন।
এদিকে এই অনাস্থার প্রস্তাব সামনে আসতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না। গত ২ জানুয়ারি সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা ব্যক্ত করে আস্থাভোট ডাকার জন্য আবেদন জানান ১৬ তৃণমূল কাউন্সিলর। সুবল মান্না সেই আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় গত ১৮ জানুয়ারি আস্থা ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন ভাইস চেয়ারম্যান। এরপর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় আস্থা ভোট হয়।