শনিবার মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই ভারতীয় কোনেরু হাম্পি ও দিব্যা দেশমুখ। দুই রাউন্ডের ক্লাসিক গেমের নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সোমবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দু’জনের।টাইব্রেকারে ব়্যাপিড বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নকেই ফেভারিট ধরা হচ্ছিল।তবে বিধাতা হয়তো অলক্ষ্যে হাসছিলেন।তাঁর আশীর্বাদ ছিল দিব্যার জন্য। এদিকে যা কেই ভাবতেও পারেননি সেই ১৯ বছরের মেয়েই উল্টে দিল পাশা।
টুর্নামেন্টে পা রেখেছিলেন ১৮তম বাছাই থেকে। একের পর এক নক্ষত্র পতন হয়েছে তাঁর হাতে। ফাইনালেও সেই ট্রেন্ড বজায় রেখে ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু কনেরু হাম্পিকে হারিয়ে মেয়েদের ফিডে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিলেন দিব্যা।
প্রথম র্যাপিড গেম শেষ হয় অমীমাংসিত ভাবে। তবে দ্বিতীয় গেমে বাজিমাত করেন দিব্যা। কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেও বর্তমানে ভারতের এক নম্বর মহিলা দাবাড়ু হাম্পিকে হারিয়ে দেন। দুই গেম মিলিয়ে ম্যাচের ফল হয় ১.৫–০.৫। এই ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়লেন দিব্যা। আর এই জয়ের উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ল আশ্রুধারায়। অশ্রু তো দুঃখের নয়, এর মাঝে রয়েছে এক মুঠো আনন্দ। হয়তো বা কষ্টের অসংখ্য মুহূর্ত মনে করিয়ে দেয় এই সাফল্য প্রাপ্তির মুহূর্তে।
তবে এদিনের এই জয়ে ইতিহাস গড়লেন প্রথম ভারতীয় মহিলা দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেন। খেতাব জিতে সরাসরি পেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার শিরোপাও। ভারতের মহিলা দাবাড়ুদের মধ্যে চতুর্থ হিসেবে এই নজির গড়লেন। ভারতীয় দাবাড়ুদের মধ্যে ৮৮তম গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন দিব্যা। বিশ্বনাথন আনন্দ, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, গুকেশ, প্রজ্ঞানন্দদের সঙ্গে তালিকায় নাম জুড়ল তাঁর।