আরজি কর ঘটনার পর থেকে উত্তরবঙ্গ লবির ‘অলিখিত অভিভাবক’ হিসেবে নাম এসেছে অস্থি ও শল্য চিকিৎসক এসপি দাসের। এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। উঠে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। অভিযোগ ওঠে, এসপি দাসই এ সব কিছুর আসল মাথা। এরই প্রেক্ষিতে এসপি দাস জানান, ‘আমি তো নবান্ন বা স্বাস্থ্য ভবনে বসি না। আমি নিজের প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকি।’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলে কারোর কোনও অনুরোধ থাকলে তিনি সরাসরি জানাতেন।
একাধিক মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এই অভিযোগের তালিকায় রয়েছে কোনও চিকিৎসকদের বদলি থেকে প্রভাব খাটিয়ে কোনও ছাত্রছাত্রীর নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার মতো নানা অভিযোগ। আর এই প্রসঙ্গেই চিকিৎসকদের মুখে এসপি দাস নামটা উঠে এসেছে। একাধিক চিকিৎসক সংগঠন বারবার অভিযোগ করেছেন, বিশেষ একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সেই গোষ্ঠীর কেউ কেউ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তারপর সেই গোষ্ঠীটির নাম হয়ে গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ লবি। তার মাথাতেই রয়েছেন এই চিকিৎসক শ্যামাপদ দাস ওরফে এসপি দাস। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র দাস প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এই যে দুর্নীতির সঙ্গে যাঁদের নাম উঠে আসছে, সন্দীপ ঘোষ, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে- এঁদের কে চালাতেন? সার্বিক মাথা কে?’ এখানেই বারবার এসপি দাসের নাম উল্লেখ করেছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন, এমনকি রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্বরাও। বিশেষ করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে এস-পি দাসের কথা উল্লেখ করেছেন আগেই। এমনকি সিপিএম, কংগ্রেসের তরফেও দাবি করা হয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোথায় কী হবে, তা সবটাই নাকি নির্ধারিত করতেন এসপি দাস। এরই প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে এ প্রশ্নও করতে দেখা যায়, সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন করেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরটা কি পুরোটাই এসপি দাস চালাতেন? মুখ্যমন্ত্রী কি কিছুই জানতেন না? নাকি স্বাস্থ্যসচিবও কিছু জানেন না।’
তবে এবার মুখ খুলতে দেখা গেল চিকিৎসক এসপি দাসকে। তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমার নাম কেন উঠছে? আমি অস্বস্তিতে রয়েছি। আমি নিজের প্র্যাকটিস নিয়েই ব্যস্ত থাকি।’