‘তিলোত্তমা’কাণ্ডে তৎপর কলকাতা পুলিশ। দুই বিশিষ্ট চিকিৎসককে লালবাজারের তরফে তলব করা হয়েছে। তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রবিবারই দুই বিশিষ্ট চিকিৎসককে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এদিন হাজিরা দিতে পারবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। অন্যদিকে, চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন তিনি এখনও নোটিসই পাননি।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, তিনি এখনও নোটিসই পাননি। নোটিস পেলে সেই বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যা যা করা হয়েছে, তা সংগঠনের তরফ থেকে। সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শ নেব। তবে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য যদি কখনও প্রয়োজন হয়, তাতে তাঁরা রাজি আছেন। সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, সংগঠনের তরফে ঠিক করা হয়েছে হাতে যা যা ইনপুট রয়েছে, তা সিবিআই-কে দেওয়া হবে। সেই মর্মে ইতিমধ্যেই তাঁরা সিবিআই-কে চিঠি করতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি হাইকোর্টে এই মামলার একটি পার্টি হতে চেয়ে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে আবেদন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর কথায়, ‘তিলোত্তমার সুবিচারের জন্য আমাদের যেখানে যেখানে যাওয়ার, তদন্তের স্বার্থে যাদের আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাঁদের সাহায্য করব।’ তবে ঠিক কী কারণে তাঁদের তলব করা হয়েছে, সেটা এখনও তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। নোটিস হাতে পাওয়ার পরই তাঁর কাছে বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, ‘আমি আজ সকালেই নোটিস পেয়েছি। আমি আজ কলকাতায় নেই। তাই আমি সেটা পুলিশকে জানিয়েছি। আমি কথা বলছি, আমি ভেবে দেখছি, এই নোটিসের রেসপন্স কী হওয়া উচিত। কারণ এই ধরনের ঘটনায় পূর্ব অভিজ্ঞতা খুব কম। আমার যাওয়াটা সংবিধানসিদ্ধ কিনা, সেটা ভেবে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ সঙ্গে এও জানিয়েছেন, নোটিসে বেশ কিছু লম্বা লম্বা ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, আরজিকর মামলা সংক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার ইংরাজিতে বলা একটা বক্তব্য, ন্যাশনালি, ইন্টারন্যাশনালি আলোচিত হয়েছে একাধিক মানুষের দ্বারা। যতক্ষণ আমরা বাংলায় ঘেউ ঘেউ করছিলাম, কেউ খুব একটা সেদিকে নজর দিচ্ছিল না। জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে ঘেউ ঘেউ করলে, সেটা নজরে পড়ছে।’