আজ কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিলে ডাক্তারদের। বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মিছিলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে খোদ কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে। একইসঙ্গে নির্দেশ, মিছিলে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের তরফ থেকে ওই মিছিলের আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। এদিকে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, মিছিলে কতজন অংশ নিচ্ছেন, সেই সংখ্যা স্পষ্ট করতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘আমরা আমাদের সদস্যদের সংখ্যা বলতে পারি, কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি মিছিলে যোগ দেন, সেই সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। ’
এরপরই রাজ্যকে সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের কথা মনে করান বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘মনে করুন এই মিছিলে যদি ১০ লক্ষ সাধারণ নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন, তাহলে কি তারা প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না? এটা তো তাদের সাংবিধানিক অধিকার।’
পাশাপাশি রাজ্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘যে এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই, সেখানে যদি সাধারণ মানুষ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন, তাহলে রাজ্য কি ট্রাফিকের কারণ দেখিয়ে প্রতিবাদে বাধা দিতে পারে?’ উত্তরে রাজ্য জানায়, ‘নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে আছে।’ এরপরই পুজোর সময় শহরে জনতার ঢলের কথা উল্লেখ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে এদিন বিচারপতি বলেন, ‘আমি এবং আপনি দুজনেই এখানে ছোটবেলা থেকে আছি। দুর্গাপুজোর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামেন। ৪৫-৫০ বছর ধরে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে সবটা নিয়ন্ত্রণ করছে। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করুক, পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করুক।’ পাশাপাশি রাজ্যকে বিচারপতি বলেন, ‘গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে দিন, তাহলে আর কোথাও মিটিং মিছিল হবে না।’
নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলে, বিচারপতি বলেন, যাঁরা দুর্গাপুজো করেন, তাঁরা কি জানেন যে কত দর্শক আসবেন? যেমন ধরুন, সুরুচি সঙ্ঘ। গত বছর আমি গিয়েছিলাম। হাজার হাজার মানুষ যান। পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক থাকেন। পুলিশ ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন।