সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শতরান করে সামারসল্ট মেরে সেলিব্রেশন করতে দেখা গিয়েছিল ঋষভ পন্থকে। গোটা ভারত যেমন তাঁর ওই ইনিংসের প্রসংসা করেছিল, একইসঙ্গে প্রশংসা করেছিল ওই দৃষ্টিনন্দন সেলিব্রেশনের। এদিকে এই সামারসল্ট করতে দেখে কপালে ভাঁজ পড়ে ঋষভের চিকিৎসক ডাঃ দিনেশ পার্দিওয়ালার। এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, ২০২২ সালে প্রায় প্রাণঘাতী গাড়ি দুর্ঘটনার পর পন্থকে সুস্থ করে তুলে ফের মাঠে ফিরিয়েছেন এই অর্থোপেডিক সার্জেন। আর ওই দুর্ঘটনার কথা টেনেই ডাঃ দিনেশ পার্দিওয়ালার ধারনা এই সামারসাল্ট মেরে উদ্যাপন ছিল একেবারেই ‘অপ্রয়োজনীয়’।
তবে এর পাশাপাশ তিনি এও জানাতে ভোলেননি, ‘ঋষভ একজন প্রশিক্ষিত জিমনাস্ট। ও দেখতে বড় চেহারার হলেও দারুণ ফ্লেক্সিবল। সেই কারণেই ওর সাম্প্রতিক কিছু সমারসাল্ট দেখে অবাক হই না।’ সঙ্গে এও জানান, ‘এটা বহুবার অনুশীলন করার ফল। আর এখানে রয়েছে নিখুঁতভাবে স্টেপিংসও। তবুও বলব এটা অপ্রয়োজনীয় ছিল’। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে রুরকির পথে গাড়ি চালিয়ে আসার সময় একটি ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ঋষভ। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই সময়ের কথা স্মরণ করে ডঃ পার্দিওয়ালা বলেন, ‘ঋষভ যখন প্রথম হাসপাতালে আসে, ওর ডান হাঁটুটা ছিল ডিসলোকেটেড। ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট ছিল। সারা গায়ে ছোটোখাটো বহু জখম। এমনকি গাড়ির রাস্তার সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে ওর গলা থেকে হাঁটু অবধি চামড়া উঠে গিয়েছিল’। চিকিৎসক বলেন, ‘ঋষভ ভীষণ ভাগ্যবান ছিল। ওর বেঁচে থাকাটাই ছিল আশ্চর্যের। যখন ওকে হাসপাতালে আনা হয়, ওর প্রথম প্রশ্নই ছিল, ‘আমি আবার খেলতে পারব তো?’। প্রসঙ্গত, ঋষভ পন্থ বর্তমানে জাতীয় দলে ফেরার পর থেকেই ভাল ফর্মে রয়েছেন এবং সাম্প্রতিক ইংল্যান্ড সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন।