কিছুদিন ধরেই সবজির বাজারে আগুন। অত্যন্ত সাধারণ সবজি যা প্রতিদিন প্রয়োজন হয় আম-বাঙালির তা কিনতে রীতিমতো হাতে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। দাম এতটাই বেড়েছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এদিকে অনেককে সবজি কেনা কমিয়ে মাছ-ডিম-পোলট্রিতে ঝুঁকতে দেখা গিয়েছিল। এমনই এক পরিস্থিতিতে বাজারের হাল আরও খারাপ হতে চলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। সংগঠনের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, আগামী ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুরগি পরিবহণ বন্ধ থাকবে। যার ফলে মুরগির জোগানে টান পড়ার আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, এক ধাক্কায় বাড়তে পারে মুরগির দামও।
এই ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে পুলিশি জুলুমবাজি, অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে তাদের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগি বাজারে আনার জন্য সাড়ে চার হাজারের বেশি গাড়ি রয়েছে যেগুলো সংগঠনের তালিকাভুক্ত। ওই গাড়ি করে মুরগি আনার সময় রাতের অন্ধকারে পুলিশি জুলুমের মুখে পড়তে হয় চালকদের। নিয়মিত ৫০০ টাকা আদায় যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানায় এলাকায় এক খালাসি পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছে বলে শোনা যায়। অভিযোগ, তিনি ১০০ টাকা দিতে চাইলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে। মারধরের জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পরই পুলিশ-প্রশাসনে বিষয়টি জানায় সংগঠন। তার পর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলেই দাবি। এরপরই ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠন। তাঁদের দাবি, পুলিশি জুলুম বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে।