অবতরণের সময় সবুজ লেজার আলোয় পাইলটের চোখ ধাঁধিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা দমদম বিমানবন্দরে

সবুজ লেজার আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে গেল চালক ও সহকারী চালকের। তাতেই দিক নির্ণয়ে সমস্যা হয়। আর তাতেই বিপত্তি দিক নির্ণয়ের। অবতরণের পরে এমনটাই অভিযোগ জানান পাইলট। শুধু তাই নয়, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল বেঙ্গালুরু থেকে আসা কলকাতাগামী বিমান। শেষপর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর বিমান আই ৫ ৯৯২ অবতরণ করার সময় ৪.৫ নটিক্যাল মাইল দূরে নারায়ণপুরের দিক থেকে লেজার লাইটের সবুজ আলো ককপিটে ভরে যায়।, তাতেই বিমানের চালক ও সহকারী চালকের মধ্যে খানিকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। সমস্যা হয় দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে। এর ফলে বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা! তবে চালকের তৎপরতয় ১৮০ জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে বিমানটি শনিবার রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপরই শনিবার রাতেই পাইলট সিকিউরিটি অপারেশনাল কন্ট্রোল সেন্টারে নালিশ জানান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যেহেতু নারায়ণপুরের দিক থেকে লেজার লাইটের সবুজ আলো দেখা গিয়েছিল সেই কারণে নারায়ণপুর থানায় সেই অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় আসা ইন্ডিগোর ৬ই ২২৩ বিমানটি ১৬৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে আসার সময় একই ঘটনার কবলে পড়ে। গত ২৮  ফেব্রুয়ারি আগরতলা থেকে কলকাতা আসা ইন্ডিগো ৬ই ৯৬১ বিমানটি ১৫৩জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের অবতরণ করার সময় ককপিটে লেজার আলোয় দিক নির্ণয়ের বিভ্রান্তি ঘটেছিল। পুনরায় গতকাল ব্যাঙ্গালোর থেকে আসা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর বিমানে একই ঘটনার সম্মুখীন হতে হল।সঙ্গে এটাও স্পষ্ট যে, একাধিকবার বেসরকারি সংস্থার বিমান কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করলেও লেজার লাইটের দাপট যে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না তা প্রমাণ করল শনিবারের ঘটনা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 16 =