বিদ্যুতের অপচয় রুখতে সন্ধে ৬টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা সব স্ট্রিটলাইট বন্ধের নোটিস দমদম সেন্ট্রাল জেলের

সম্প্রতি নবান্নে বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী সন্ধে ৬টায় বন্ধ করে দিতে হবে। ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের চৌহদ্দিতে থাকা স্ট্রিট লাইট। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের তরফ থেকে এমনই এক আজব বিজ্ঞপ্তি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে। বহু সরকারি অফিসে দেখা যায়, কর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার পরও আলোপাখা জ্বলছে। অনেক পুরসভায় দিনের আলো ফুটে যাওয়ার পরেও রাস্তার আলো জ্বলে। এই অপচয় আর বরদাস্ত নয়। এরপর বিদ্যুতের অপচয় রুখতে দুদিন আগে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার তথা দমদম সেন্ট্রাল জেলের সুপারের তরফ থেকে একটি নির্দেশ জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের চৌহদ্দিতে যে সব স্ট্রিট লাইট রয়েছে, সেগুলো সন্ধে ৬টায় বন্ধ করে দিতে হবে। ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ থাকবে।

সূর্যাস্তের পর সন্ধে ৬টায় স্ট্রিট লাইট জ্বালানোর কথা। আবার সকাল সাড়ে ৫টার পর দিনের আলো ফুটে যায়। তাই তখন বন্ধ করার কথা। কিন্তু সন্ধে ৬টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত লাইট বন্ধ থাকলে, জ্বালাবে কখন তা নিয়েই এবার উঠছে প্রশ্ন। হিসাবমতো জেলের চৌহদ্দির বাইরে যে সব স্ট্রিট লাইট রয়েছে তা রাতে জ্বলার কথা। কারণটা খুবই স্বাভাবিক। রাতে জেলের নিরাপত্তায় কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, কেউ পালানোর চেষ্টা করছে কিনা—ইত্যাদির উপর নজর রাখার জন্য আলো জ্বলা জরুরি। এমন নয় যে জেল রক্ষীদের থার্মাল ইমেজার দেওয়া হয় যে তাঁরা রাতের অন্ধকারেও দেখতে পাবেন। আর এখানেই নেটিজেনদের একাংশের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী ধরে আনতে বললে কেউ কেউ যে বেঁধে আনবেন কে জানত! এদিকে সংশোধনাগার সূত্রে বলা হচ্ছে, এই বিজ্ঞপ্তির খসড়া করতে গিয়ে নিশ্চয়ই কোনও বিভ্রান্তি হয়েছে। বিষয়টি জেল সুপারের নজরে আনা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + seventeen =