বহরমপুরে রাজ্য সম্মেলন থেকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করল ডিওয়াইএফআই। এই সম্মেলন থেকে নির্বাচিত হল ৯৭ জনের রাজ্য কমিটি। সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সভাপতি হলেন অয়নাংশু সরকার। যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরোজ দাস। কলতান দাশগুপ্তর জায়গায় এলেন তিনি। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন রুদ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এদিকে এর পাশাপাশি নতুন রাজ্য কমিটি ২৫ জনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী নির্বাচিত করেছে। অর্থাত্, সমীকরণ বলছে, সিপিএমের যুব সংগঠনে সেই মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমান লবিই থেকে গেল।সোমবার কমিটি নির্বাচনের আগে জবাবী ভাষণ দেন বিদায়ী রাজ্য কমিটির সম্পাদক মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের রবীন্দ্র সদনে ডিওয়াই এফআই–এর তিন দিনের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন শেষে সিপিএমের যুব সংগঠনের যে রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি বদল হবে তা একরকম নিশ্চিত-ই ছিল। এদিকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এখন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এছাড়া বয়সের কারণে তিনি এবার দলের যুব সংগঠন থেকে বিদায় নেবেন বলেও শোনা যাচ্ছিল বাম যুবদের শিবিরে। তবে মীনাক্ষীর জায়গায় দলের যুব সংগঠনের হাল কে ধরবেন তা নিয়ে সিপিএমের অন্দরে চলছিল জল্পনা। মুর্শিদাবাদের যুব নেতা ধ্রুবজ্যোতি সাহা যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। তার আগে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের মুর্শিদাবাদ জেলার সম্পাদক ছিলেন। সোমবার সম্মেলন শেষে তাঁর হাতেই রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, মীনাক্ষি ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক পদে থাকাকালীন তাঁর কার্যত ছায়াসঙ্গী ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি। মীনাক্ষির প্রায় সব কর্মসূচিতেই দেখা যেতো তাঁকে। ফলে ধ্রুবজ্যোতি রাজ্য সম্পাদক হওয়ায় মীনাক্ষির প্রভাব সিপিএমের যুব সংগঠনে থাকবে বলেই ধারনা বাম রাজনীতিবিদদের একাংশের।