দেশে ফের জোরাল ভূমিকম্প। কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারতের একাংশ। কম্পন অনুভূত হল জম্মু-কাশ্মীরেও। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে এই ভূমিকম্পটি হয় আফগানিস্তানে। উৎসস্থল ছিল হিন্দুকুশ। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮। তারই প্রভাব পড়ে রাজধানী শহর সহ উত্তর ভারত জুড়ে।
সূত্রে খবর, এদিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দিল্লির বাসিন্দারা। বহুতল আবাসন থেকে তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে আসেন সকলে। রাস্তায় লোকজনের ভিড় জমে যায়। অনেকেই আবার এই কম্পনের সময়ের নানা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডও করেন। যা দেখে শিউরে উঠছেন সকলে।
উৎসস্থল আফগানিস্তান হলেও শনিবার রাতের এই কম্পন অনুভব করেন দিল্লি, নয়ডা, ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের বাসিন্দারাও। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় রাজধানীতে। অধিকাংশ মানুষ বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। হাইরাইজগুলিতে কম্পন অত্যধিক মাত্রায় অনুভূত হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এই নিয়ে তিন তিনবার জোরাল ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকল ভারতের রাজধানী শহর। উত্তর ভারত মিলিয়ে একাধিক ছোট বড় কম্পন হয়েছে চলতি বছরে। গত ২১ মার্চ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি। দীর্ঘ কয়েক সেকেন্ড ধরে অনুভূত হয় জোরাল কম্পন। সঙ্গে একের পর এক আফটারশক। কেবলমাত্র দিল্লিই নয়, কম্পন অনুভূত হয় হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানাতেও। জোরাল এই ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উত্তর ভারতে। ন্যাসানাল সেন্টার ফর সেসোমোলজির তরফে জানানো হয়েছিল, সে বারও জোরাল ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান। সে দেশের কালাফগান অঞ্চলের ৯০ কিলোমিটার এবং ফইজাবাদের থেকে ১৩৩ কিলোমিটার দূরে এই কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৭। আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এছাড়াও কেঁপে ওঠে তুর্কমেনিস্থান, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তানও। তার আগে চলতি বছরেরই ২৪ জানুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৮। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওইদিন কম্পন অনুভূত হয় NCR এলাকাতেও। কম্পনের এপিসেন্টার ছিল নেপাল। নতুন বছরের শুরুতেই ৫ জানুয়ারি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৯। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং উত্তর ভারত জুড়েই সেদিন কম্পন অনুভূত হয়েছিল।