ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় মুসুর ডাল খান, তবে কম করে

নিজেদের মতো ধারণা করে নিয়ে খাবার তালিকা থেকে বেশ কিছু জিনিস একেবারে ছেঁটে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু সেটা আদৌ করা উচিত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যেমন ধরা যাক মুসুর ডাল।

এ ব্য়াপারে চিকিৎসকদের বক্তব্য, মুসুর ডালের মধ্যে রয়েছে ভাল পরিমাণে প্রোটিন। তাই কোনও মানুষ চাইলে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর স্বার্থে এই ডাল খেতে পারেন। এছাড়া এই ডালে থাকে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন সি, বি৬, বি২, ফোলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি।

মসুর ডাল স্বাভাবিক পরিমাণে খেলে তেমনভাবে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে না। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন শরীর সহজেই গ্রহণ করতে পারে। ফলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার আশঙ্কা কম। তবে এই ডাল বেশি পরিমাণে খেলে সমস্যা বাড়া সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই ডাল কম পরিমাণে খেতে হবে। তবেই ভালো থাকা যাবে।

এক কাপ মসুর ডালে থাকে ২৩০ গ্রাম ক্যালোরি, প্রায় ১৫ গ্রাম ফাইবার এবং প্রায় ১৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মুসুর ডাল নিরামিষদের জন্য আদর্শ পছন্দ।

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে মুসুর ডালের মধ্যে। এটি হজমের হারকে হ্রাস করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ বা অযাচিত পরিবর্তনগুলি রোধ করে। তাই যাদের রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা রয়েছে তাঁদের প্রতিদিন এই ডালটি খাওয়া উচিত। মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।

ফলে অনেক খাবারের ঘাটতি মিটিয়ে দেয় সহজেই। কম ফ্যাট থাকার কারণে শরীরে মেদ জমে না। প্রোটিন ছাড়াও ডালে প্রচুর ফাইবার থাকে। এ ছাড়া থাকে জিঙ্ক ও আয়রন। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ডাল।

মুসুর ডাল শুধু খেতেই উপকার সেটা নয়। এর পাশাপাশি এটা আপনার ত্বকের জন্যও যথেষ্ট উপকারি।শুষ্ক ত্বকের জন্য মুসুর ডালের ফেসপ্যাক খুবই উপকারি । ২ চা-চামচ মুসুর ডাল সারারাত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা দিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। এটি ২০ মিনিটের জন্য রাখুন এবং শুকানোর পরে ধুয়ে ফেলুন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =