সম্প্রতি ভারতীয় রেল জেনারেল কামরার যাত্রীদের জন্য চালু করল ‘ইকোনমি মিল’। এতে খুব সস্তাতেই খাবার পাবেন জেনারেল বা অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীরা। ভারতীয় রেলের দূরপাল্লার বেশিরভাগ ট্রেনেই প্যান্ট্রিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। তেব এই খাবার পান শুধুমাত্র এসি ও স্লিপার ক্লাসের যাত্রীরাই। সেই কারণে, খাবারের ব্যাপারে বিপাকে পড়তে হয় জেনারেল কামরার যাত্রীদের। এতদিন জেনারেল কামরার যাত্রীরা কোনও বড় স্টেশনে ট্রেন থামলে দ্রুত নেমে খাবার কিনে ফিরতেন। তাড়াহুড়োতে দুর্ঘটনা ঘটাও কোনও বিচিত্র ঘটনা ছিল না। সেই সমস্যা সমাধানেই রেল চালু করেছে ‘ইকোনমি মিল’। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্টেশনে যেখানে জেনারেল কামরা এসে থামবে তার সামনেই রাখা হচ্ছে এই ‘ইকোনমি মিল’ এর স্টল। ফলে অসংরক্ষিত যাত্রীদের খুব বেশি কষ্টও করতে হবে না। তাছাড়া রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই ‘ইকোনমি মিল’ পাওয়ার জন্য টিকিট দেখানও বাধ্যতামূলক নয়।
ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই রেলের তরফে এই ‘ইকোনমি মিল’ চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দেশের মোট ৬৪ টি স্টেশনে এই ইকোনমি মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে নর্থ জোনে রয়েছে ১০টি স্টেশন, ইস্টার্ন রেলওয়েতে রয়েছে মোট ২৯টি স্টেশন, সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ের ৩টি স্টেশন, সাউথ সেকশনের ৯টি স্টেশন ও ওয়েস্ট জোনে মোট ১৩টি স্টেশন।
সাধারণত রেলের জেনারেল বা অসংরক্ষিত কামরায় আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নন, এমন যাত্রীর সংখ্যাই বেশি থাকে। তাই তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার সময় রেল খাবারের দামও রেখেছে কম। ‘ইকোনমি মিল’ এর আওতায় কোনও যাত্রী ২০ টাকাতে ৭ টি কচুরি বা পুরী, আলুর তরকারি ও চাটনি পাবেন। এছাড়া এর উপরে রয়েছে ৫০ টাকার কম্বো প্লেটও। সেখানে পাওয়া যাবে খিচুড়ি, ছোলা -বাটুরে, রাজমা-চাউল, মশালা ধোসার মতো খাবার। এই দাম জিএসটি -সহ বলে জানানো হয়েছে রেলের বিজ্ঞপ্তিতে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ইস্টার্ন রেলের মোট ২৯টি স্টেশনে এই ‘ইকোনমি মিল’ পাওয়া গেলেও একাধিক স্টেশন রয়েছে অন্য রাজ্যের। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৮টি স্টেশনে এই খাবার পাওয়া যাবে। সেই তালিকায় শিয়ালদা ছাড়াও রয়েছে দুর্গাপুর, খড়গপুর, আসানসোল, রামপুরহাট, নিউ কোচবিহার, নিউ আলিপুরদুয়ার, হিজলি ও রামপুরহাট।