রেশন দুর্নীতির ঘটনায় এবার কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার বাতিল রেশন কার্ডের তথ্য চেয়ে ফের খাদ্য দফতরে চিঠি দিল ইডি। এই নিয়ে তৃতীয়বার চিঠি দেওয়া হল ইডির তরফ থেকে। একইসঙ্গে এটাও জানানো হয়েছে, প্রথম দুটি চিঠির উত্তর না দেওয়ায় এই তৃতীয় চিঠি পাঠানো হল।
২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভুয়ো রেশন কার্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। তবে ইডি-র দাবি, ঋতুপর্ণা ছাড়াও আরও ৫০ জন সুবিধাভোগীর কাছে গিয়েছে রেশন দুর্নীতির টাকা। তদন্তে ইডি-র নজরে রয়েছে সেই ৫০ জন। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ভুয়ো কৃষক দেখিয়ে তাঁদের কাছেও পৌঁছেছে দুর্নীতির টাকা। প্রত্যেকেই বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বলে তদন্তকারীদের বক্তব্য।
প্রসঙ্গত, এর আগে দু’বার চিঠি পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু চিঠি পাঠানোর পর দীর্ঘ সময় তদন্তকারীদের উত্তরের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। খাদ্য দফতর থেকে দুবারই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই চলতি সপ্তাহেই তৃতীয় চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠিরও কোনও উত্তর যদি না পান, তাহলে তদন্তকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। প্রচুর বাতিল রেশন কার্ড কিংবা ভুয়ো রেশন কার্ডের মাধ্যমেও রেশন তোলা হয়েছে। খাতায় কলমে সেই সংক্রান্ত হিসাব তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সে বিষয়ে খাদ্য দফতরের কী বক্তব্য, সেটাই জানতে চান তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তের ইডি-র নজরে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র হস্তাক্ষরও। এসএসকেএম থেকে পাওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠির হাতের লেখার পরীক্ষা করাতে চাইছি ইডি। ইডি-র বক্তব্য, এসএসকেএম হাসপাতালে বালু চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শাহজাহান, শঙ্কর আঢ্যের নাম লেখা একটি চিঠি মেয়েকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাতে টাকা দেওয়া-নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ ছিল। তদন্তকারীরা রেশন দুর্নীতি মামলার জাল গোটাতে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে চাইছে।