পার্থ রায়
এই মাসের শেষেই জোড়া চার্জশিট দাখিল করতে চাইছে ইডি ও সিবিআই। জানা গিয়েছে, দু’টি চার্জশিটেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম থাকতে চলছে শেখ শাহাজাহানের। সহযোগী হিসাবে নাম থাকতে পারে শেখ আলমগীর, দিদার মোল্লা, শিবু হাজরার।
মূলত, যে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর সিবিআইকে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হয়। শাহজাহানের ক্ষেত্রে সেই দিন সংখ্যা ২৭। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষেই নির্ধারিত দিনের আগে সিবিআই চার্জশিট দাখিত করতে পারে। অন্যদিকে, ইডি-র ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে হয়। আর এই মাসের শেষে সেই দিন পূরণ হচ্ছে। ফলত, জানা যাচ্ছে, ইডি ও সিবিআই দুই এজেন্সিই এই মাসের শেষে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ৫ জানুয়ারি। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেদিন এক তীব্র জনরোষের মধ্যে পড়তে হয়েছিল ইডির এই দলকে। আক্রান্ত হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। একইসঙ্গে আক্রান্ত হন সঙ্গে থাকা কেন্দ্রী বহিনীর জওয়ানেরাও। ফলে সেদিন তল্লাশি না করেই প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের। এই ঘটনার পর থেকে একের পর এক মোড় নিতে শুরু করে সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ। উঠে আসতে থাকে জমি দখল সংক্রান্ত একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জমি দখল করে যে বিরাট অর্থ আত্মস্যাৎ করেছিল শাহজাহান, বর্তমানে সেই অর্থেরই খোঁজে রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।