শহরে ফের ইডি-র হানা, ৩ অফিসে তল্লাশি

শহরে ফের ইডির হানা। বুধবার বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিট, এজেসি বোস রোড ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এলাকায় তিনটি অফিসে অভিযান চালালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এই তিনটি জায়গাতেই এক নির্মাণকারী সংস্থার অফিস রয়েছে। সেই অফিসগুলিতেই চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক যোগের সন্ধান পেতেই এদিনের এই অভিযান চালানো হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে খাটানো হত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই আজ বিকেলে পাঁচটা নাগাদ হানা দেয় ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, কালো টাকা সাদা করতে হাওয়ালা যোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রায় ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডির স্ক্যানারে রয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের সন্দেহ, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টাকা ঘোরানো হয়েছে।
তবে বর্তমানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর হার্টে একটি স্টেন্ট বসানো হয়। এরপর রাতে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আপাতত তিনি কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে ৯ নম্বর বেডে কালীঘাটের কাকু চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 3 =