ইডি-র সৎ সাহস নেই স্পষ্টভাবে কোনও অভিযোগ করার, কটাক্ষ অভিষেকের

রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি-কে। বাংলার বিরোধী দল বিজেপি, সঙ্গে ইডি-রও সৎসাহস নেই স্পষ্টভাবে কোনও অভিযোগ করার। এবার একেবারে বিদেশের মাটিতে বসে এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি এও বলেন, কেন্দ্রের এই সংস্থার যে দায়িত্ব রয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করছেন না তদন্তকারীরা। ইডি পুরোপুরি রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হয়ে চলছে। এরপরই অভিষেক ইডিকে কটাক্ষ করে এও বলেন, ‘সত্য সর্ব শক্তিমান। সত্যেরই জয় হবে’। একইসঙ্গে সোমবারের এই টুইটে অভিষেক এও লেখেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে এত অকর্মণ্য সব লোক বসে আছে যে দেখে করুণা হচ্ছে। সপ্তাহে ২ বার আমার বিরুদ্ধে গল্প সাজানো ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। আর এ সব করছে শুধু ওদের রাজনৈতিক প্রভুকে খুশি করার জন্য।’

এখানেই শেষ নয়, অভিষেক তাঁর টুইটে এও লেখেন, ‘ইডি বা সংবাদমাধ্যম কিংবা বাংলার বিজেপি নেতাদের তাঁর বিরুদ্ধে পরিষ্কার করে কোনও অভিযোগ তোলার সাহস বা আত্মবিশ্বাসই নেই। এই সব হতভাগ্য এবং হতাশ আত্মাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কী করা যায়!’

বিদেশযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রেক্ষিতে ইডি-কে খোঁচা দিয়ে অভিষেকের এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই প্রথম নয়, ইডিকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করার অভিযোগ এর আগেও করেছে শাসকদল। ইডি-র একাধিকবার তলবের মুখে পড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডি-র তলবের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমনকি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও কুন্তল ঘোষের একটি চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে তলব করেছিলেন তদন্তকারীরা। তখন তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। পাশাপাশি এও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন, যতই ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হোক, পরিবারের সদস্য, স্ত্রী-সন্তানকে হেনস্থা করা হোক, তবুও তিনি অসত্যের কাছে মাথা নত করবেন না।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রকাশ্য সভা থেকে এমনকি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে যে ইডি-সিবিআই রাজনৈতিক নেতাদের কথায় চলে। সিবিআই-ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করার অভিযোগ এর আগেও বহুবার তুলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দেন, যতই ইডি-সিবিআই দিয়ে তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হোক, পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সন্তানকে হেনস্থা করা হোক, তিনি অসত্যের কাছে মাথা নত করবেন না। আর এবার অভিষেকের বিদেশ যাত্রা নিয়ে যখন এত জলঘোলা, সেখানে দাঁড়িয়ে অভিষেকের এই টুইট যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =