জ্যোতিপ্রিয় কন্যা প্রিয়দর্শিনীর পর এবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে ডাক পড়ল আর এক তৃণমূল-নেতার মেয়ের। রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল মঙ্গলবার। এদিন দুপুরেই সেই মতো সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান ঋতুপর্ণা। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ আগে বেরিয়ে আসেন ঋতুপর্ণা। এদিকে সূত্রে খবর, শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর আত্মীয়দের নামে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের যে সব অফিস রয়েছে, সেখানে সোমবারই তল্লাশি চালায় ইডি। এর ২৪ ঘণ্টা পরেই শঙ্কর-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ইডি আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে ওই সব সংস্থার কী যোগ ছিল, কোনও লেনদেন হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতেই তলব করা হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে।
তবে এদিন ইডি দফতর থেকে বেরনোর পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে কার্যত মুখে কুলুপ আঁটেন ঋতুপর্ণা। কী প্রশ্ন করা হল, কোনও নথি চাওয়া হল কি না, আবার ডাকা হবে কি না এই সব প্রশ্নে কোনও উত্তরই দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। শুধু জানান, ‘আপাতত কিছু বলতে পারব না। তদন্ত চলতে দিন আপনারা জানতে পারবেন।’ এরপর সোজা হেঁটে গাড়িতে উঠে যান তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয় বিআর সিং হাসপাতালে। সেখানে শঙ্করকে গাড়িতে তোলার সময় যে চিঠির কথা ইডি দাবি করেছিল সেই চিঠি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শঙ্কর। স্পষ্ট ভাষায় জানান, এই চিঠির ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। এমনকী জ্যোতিপ্রিয় বা তাঁর মেয়ের সঙ্গে কোনওদিনই যোগাযোগ নেই। তবে যতই অস্বীকার করুন শঙ্কর, তাঁর মেয়ের ফেসবুক পোস্ট কিন্তু বলছে অন্যকথা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে চেনার কথা বারবার শঙ্কর আঢ্য অস্বীকার করলেও তাঁর মেয়ের ফেসবুক পোস্টের জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে ছবি দেখা গিয়েছে। সেই পোস্টে মন্ত্রীকে জ্যেঠু বলে সম্বোধন করতেও দেখা যায় ঋতুপর্ণাকে।আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে আঢ্য পরিবার কিছু লুকোতে চাইছেন কি না তা নিয়েই।