বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশির পর শুক্রবার ভোর রাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে বের করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকেরা৷ যদিও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ইডি-র পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি৷ বাড়ি থেকে বের করার সময় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, তিনি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার৷ এ সবকিছুর জন্য বিজেপি-কেই দায়ী করেন জ্যোতিপ্রিয়৷
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযানে নামে ইডি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের দুটি বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেহেতু এর আগে খাদ্য দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, তাই তাঁর নাম এই দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসে।বৃহস্পতিবার সকালে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সল্টলেকের বিসি ২৪৫ নম্বর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা৷ খাদ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান, আয়ের উৎস সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখেন ইডি কর্তারা৷ এরপর রাতের দিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়ে আসা হয়৷ তখন থেকেই খাদ্যমন্ত্রীকে ইডি হেফাজতে নিতে পারে বলে জল্পনা ছড়াতে থাকে৷
শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ভোর রাত ৩.২০ মিনিট নাগাদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ সেখান থেকে সোজা বনমন্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বনমন্ত্রী শুধু বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম।’ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখেও বিজেপি-কেও নিশানা করে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জানান, ‘বিজেপি খুব ভালো কাজ করেছে।’