রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে খুন ও জমি দখলের অভিযোগ ছিল, তার ভিত্তিতেই একটি ইএসআইআর দায়ের করেছে ইডি। সেই মামলাতেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। শুক্রবার সকাল থেকে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এদিন ইডি আধিকারিকেরা ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। শুক্রবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে পড়ে ইডি-র একাধিক টিম। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরই একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। এদিনের এই অভিযানের মুখে যাঁরা পড়েন তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে মাছের ভেড়ি ব্যবসার যোগ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এদিকে এই তালিকায় রয়েছে বাঁশদ্রোণি, হাওড়া, বিরাটি সহ বেশ কয়েকটি জায়গা। হাওড়া হালদার পাড়ায় শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী পার্থপ্রতিম সেনগুপ্তর বাড়িতে চলে ইডির তল্লাশি। রেশন দুর্নীতি তদন্তে এই ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে। পার্থর প্রেট্রোল পাম্প, মাছের ব্যবসাও আছে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ব্যক্তি মাছের ভেড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। চিংড়ি মাছের বড় ব্যবসাও রয়েছে এই পার্থপ্রতিম সেনগুপ্তের। এছাড়াও জানা যাচ্ছে সম্প্রতি নতুন দুটি বাড়িও কিনেছেন তিনি। সেই কারণেই এই তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বিজয়গড়ে ১০ নম্বর পুকুর এলাকায় এক প্রাক্তন সরকারি কর্মীর বাড়িতেও চলে তল্লাশি। অরুপ সোম নামে ওই প্রাক্তন সরকারি কর্মী দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করেন। মাছের ভেড়ি আছে বলেও সূত্রের খবর। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর যোগ আছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে এদিন সকালে ইডি যখন তাঁর বাড়িতে যায়, তখন তিনি বাড়ি ছিলেন না। পরে আসেন বাড়িতে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শাহজাহানের। মূলত আমদানি-রফতানির ব্যবসা করতেন এই ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জমি, ভেড়ির কালো টাকা সাদা করতে একাধিক ব্যবসায় সে সব বিনিয়োগ করা হত। অভিযোগ, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীকে টাকা সাইফনিংয়ের মাধ্যমে মাছ ব্যবসায়ীকে ব্যবহার করা হয়। জমি প্রতারণার মাধ্যমে টাকা বিদেশেও পাচার হয়েছে বলে ইডির তদন্তে উঠে এসেছে। সেইসঙ্গে জমি জবরদখল ও একটি পুরনো খুনের মামলায় তদন্তে হাওড়া, বিজয়গড় সহ মোট ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।