মঙ্গলবার বারিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ কুড়ি লক্ষ টাকা। এরপরই এবার বারিককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তবে ইডি-র এই তলবে আদৌ তিনি হাজিরা দেবেন কি না তা জানা যায়নি। বস্তুত, মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে নামেন ইডি আধিকারিকরা। বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বারিকের আবদুল বারিক বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে কুড়ি লক্ষ টাকা। এমনকী তাঁর রাইস মিল থেকেও ইডি আধিকারিকদের হাতে এসেছে প্রচুর নথি ডিজিটাল ডেটা। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।
বস্তুত,এই বারিকের নাম প্রথম উঠে আসে সোনা পাচারে। গ্রেফতারও হন তিনি। এরপর কয়লাকাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর। সোনা পাচার কাণ্ডে জামিন পাওয়ার পর রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ইটভাটা, অ্যাগ্রো প্রোডাক্টের ব্যবসার নামে একাধিক সংস্থা খোলেন বলে খবর। শুধু তাই নয়, কলকাতা, নিউটাউন , রাজারহাট সহ বসিরহাটে প্রচুর সম্পত্তি কেনেন বলেও জানা যায়। অভিযোগ, সেই কোম্পানিগুলির আড়ালেই নাকি বারিক রমরমিয়ে চালাতেন তাঁর বেআইনি ব্যবসা। ইডির অনুমান, রেশন দুর্নীতির টাকাও এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়ে থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি মনে করছে,এই সংস্থাগুলির সিংহভাগই বারিক বিশ্বাসের স্ত্রীর নামে।