রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই চার্জশিটে নাম থাকবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস ও তার একাধিক সংস্থার। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, শঙ্কর আঢ্যর পাশাপাশি বিশ্বজিৎ দাসও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে উল্লেখ থাকতে চলেছে চার্জশিটে।
ইডি সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, বিশ্বজিৎ একসময় শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর সংস্থায় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। পরে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ। বস্তুত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শঙ্কর আঢ্য ও তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন হাওয়ালা সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়। এদিকে তদন্ত আধিকারিকেরাও জানতে পেরেছেন, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, সোনার ব্যবসা রয়েছে, এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বিশ্বজিৎ পাঁচ শতাংশ কমিশনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দুর্নীতির টাকা বিদেশ পাচারে কাজ করতেন। ২০১৪-২০১৫ সালে রেশন দুর্নীতির সাড়ে তিনশো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ইডি’র অভিযোগ, এজেন্ট মারফত জ্যোতিপ্রিয়র রেশন দুর্নীতির নগদ টাকা পৌঁছে যেত এই ব্যবসায়ীর কাছে। এরপর তিনি সেই টাকা হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ।