মঙ্গলবারের আকাশে ইদের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে কলকাতার নাখোদা মসজিদ, ওডিশার আঞ্জুমান চাঁদ দেখা কমিটি, লখনউয়ের মার্কাজি মসজিদ চাঁদ দেখা কমিটি বৃহস্পতিবার ইদ-উল-ফিতরের দিন ঘোষণা করেছে। এদিকে বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে সরকারি ছুটি। তবে এই দেশের এমন তিনটি এলাকা রয়েছে যেখানে বুধবারই পালিত হচ্ছে খুশির ইদ। সৈয়দ সাদিক আলি শিহাব থংগল এবং জিফরি মুথুক্কোয়া থংগল সহ কেরালার অন্য মৌলবীরা জানিয়েছেন, শাওয়াল মাসের চাঁদ তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, তাই দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে বুধবারই ইদ উদযাপন করা হবে। কেরালা পশ্চিমী তট এলাকায় অবস্থিত। এখানে লুনার ক্যালেন্ডারের ২৯তম দিনেই চাঁদ দেখা গিয়েছে। সৌদি আরবের ইদের তারিখের সঙ্গে তা মিলে গিয়েছে। আর সেই কারণেই বুধবারই কেরালার মুসলিমরা ইদ পালন করছেন।
এদিকে, শ্রীনগরের মুফতি নাসির-উল-ইসলাম জানান, ‘আমাদের এখানে চাঁদ দেখা গিয়েছে। সে কারণে জম্মু-কাশ্মীরে বুধবারই ইদ-উল-ফিতর পালন করা হবে।’ আসলে কেরালা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিম বাসিন্দারা বেশিরভাগ সময় সৌদি আরবের তারিখ অনুযায়ী ইদ পালন করে থাকেন। যেদিন সৌদিতে ইদ উদযাপিত হয়, সেদিন ভারতের এই দুই এলাকাতেও উৎসব পালিত হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল লাদাখেও বুধবারই ইদ পালনের ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, লে অঞ্চল থেকে মঙ্গলবারই পবিত্র চাঁদ নজরে এসেছে। কার্গিল-লাদাখের জামিয়াত-উল-উলেমা ইসনা আশরিয়া জানান, ‘পবিত্র চাঁদ দেখা গিয়েছে কার্গিল থেকে। ইদ-উল-ফিতর বুধবার, ১০ এপ্রিল পালন করা হবে।’
তবে ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ইদ পালিত হবে। ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দিল্লির জামা মসজিদে ইদের নমাজ পাঠ শুরু হবে। ফতেপুরী মসজিদের শাহি ইমাম মৌলানা মুকর্রম আহমেদ বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা এবং রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে মঙ্গলবারের আকাশে চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বুধবার রমজান মাসের ৩০তম দিন পালিত হবে।’ এদিকে জামা মসজিদের প্রাক্তন ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি বলেন, ‘মঙ্গলবার দেশের অধিকাংশ জায়গা থেকেই শাওয়াল অর্থাৎ ইদ-উল-ফিতরের চাঁদ দেখা যায়নি। ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারের মসজিদ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারাও চাঁদ দেখতে পাননি মঙ্গলবার। ফলে ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার পালিত হবে খুশির ইদ।’ বুধবার দেশের মুসলিমরা অন্তিম দিনের রোজা পালন করবেন।