কলকাতায় ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে তিলোত্তমাবাসীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের। সোমবার সকাল হতেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন সৃজন ভট্টাচার্য। এদিন সকালে কলকাতা পৌরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন এলাকার মানুষদের সাথে। রবিবার রাতে ঝড়ের কারণে যাদবপুরের একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ, লাইট পোস্ট। জল জমে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম সংকটে রয়েছেন এলাকার মানুষ। বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলার পর প্রশাসনের সাথে কথা বলেন যাদবপুরের সিপিআই(এম) প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘গোটা যাদবপুর জুড়ে আমরা রাস্তায় আছি। রেড ভলেন্টিয়াররা সব সময় মানুষের পাশে আছে। বারুইপুর, ভাঙ্গর সব জায়গায় খবর নিয়েছি। সেখানে যাবো মানুষের সাথে কথা বলবো। বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।’
অন্যদিকে দুর্যোগের মধ্যেই দমদমের অবস্থা কী তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামতে দেখা যায় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়কে। আর জমা জল সরাতে বাঁশ হাতে ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাঁকে। কারণ, ম্যানহোলের মুখে ভর্তি ছিল প্লাস্টিক-আবর্জনা। তাতে জল সরছিল না। সেগুলিই পরিষ্কার করতে দেখা যায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতাকে। পাশাপাশি বরানগরে পেলোডার চালিয়ে চিমনি সরাতেও দেখা যায় দমদমের এই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। রেমালের জেরে রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায়। দমদম, উত্তর কলকাতার বেশির ভাগ এলাকা জলমগ্ন। রাস্তায় নামেন সৌগত আর তাঁর অনুগামীরা।
এদিকে বরানগর, বরানগরে কেন্দ্রীয় সরকারের বন্ধ কারখানার চিমনি ভেঙে পড়ে। রাস্তার ধারে ফাঁকা মাঠে পার্ক করা ছিল পরপর আটটি গাড়ি। সেই বড় চিমনি ভেঙে পড়ে গাড়ির ওপর। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়িগুলো। চিমনি সরাতে ক্রেন এসে পৌঁছয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান সৌগত রায়ও। নিজেই পেলোডার চালিয়ে ক্রেন সরাতে শুরু করেন সৌগত রায়। পাশে ছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।