র্বাচনের আগে বদল হল রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে। ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। শুধু রাজীব কুমারই নয় সরানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের আইজিকেও। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও কাজে তাঁদের রাখা যাবে না। আদর্শ আচরণবিধি চালুর পরই পদক্ষেপ কমিশনের। এদিকে সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে ডিজি এবং আইজি পদে নিয়োগ করার জন্য তিনজন অফিসারের প্যানেল চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী ডিজি নিয়ে এক্ষেত্রে আরও তিন জনের প্যানেল রয়েছে। তাতে চার আধিকারিকের নাম আরও জোরাল ভাবে চর্চায় উঠে আসছে। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস ডিজি রেল দেবাশিস রায়। এছাড়াও ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস রণবীর কুমার, যিনি প্রশাসনিক FSL পদে রয়েছেন, আর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশকে নিয়েও চর্চা চলছে। নবান্নের কাছে তিন জনের নাম চেয়েছে কমিশন। সন্ধ্যার মধ্যে আরও তিনজনের প্যানেল চাওয়া হয়েছে নবান্নের কাছে থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাজীব কুমারকে সরিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার করা হয় সোমেন মিত্রকে। ২০১৯ সালে অনুজ শর্মা কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজেশ কুমারকে। ২০২১ সালে ডিজিপি বীরেন্দ্রকে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দায়িত্ব দেয় পি নীরজনয়ন পাণ্ডেকে।
গত শনিবার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠে গেল, ভোট ঘোষণার পর এ রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারকে সরিয়ে কি প্রথম পদক্ষেপ কমিশনের কি না তা নিয়েই উঠে গেল সোমবারের পর থেকেই। এদিন নির্বাচন কমিশন যে নোটিস নির্দেশিকা জারি করেছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, রাজীব কুমারকে ‘নন ইলেকশন রিলেটেড পোস্ট’ অর্থাৎ ভোটের সঙ্গে যুক্ত থাকে না এমন কোনও পোস্টে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ভোট ঘোষণার এক মাস আগে প্রত্যেক রাজ্যে একটি নির্দেশিকা গিয়েছিল। সেখানে বলা ছিল, যেখানে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে কোনও আধিকারিক কাজ করছেন, তাঁদের বদলি করতে হবে। নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম যে পদক্ষেপ করা হল, তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়া।
এর পাশাপাশি গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিবকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এটা চলবে। অর্থাৎ প্রশাসনের শীর্ষ পদ থেকে শুরু করা হল। এবার ডিএম, এসপিদেরও সরানো হতে পারে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে, যাঁদের তিন বছর এক জায়গায় থাকার পরও রাজ্য প্রশাসন সরায়নি সকলকেই সরানো হবে বলে খবর।