আদালত অবমাননার মামলায় ক্ষমা প্রার্থনা নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার

পঞ্চায়েত ভোটের সময় আদালত অবমাননা মামলায় ক্ষমা চাইলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। প্রসঙ্গত, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ভোটের পর যখন গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি মামলায় রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছিল। ভোট মিটে যাওয়ার ৬ মাস পর এবার নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে হলফনামা জমা দেন রাজীব সিনহা। সেখানেই ক্ষমা চাওয়ার কথা রয়েছে। যদিও রাজীব সিনহা ওই হলফনামায় আরও দাবি করেন, আদালতের সব নির্দেশ মেনেই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল।

গত বছরের জুলাইতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আদালতের নির্দেশ মেনে হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। হাই কোর্টে শুনানির পর অবশেষে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। গত ১৩ অক্টোবর এই রুল জারি হয়। আদালতের নির্দেশ মেনে গত নভেম্বর মাসে রাজীব সিনহা হাই কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে আদালত অবমাননা মামলায় জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আদালত সূত্রে খবর, সোমবার হলফনামায় রাজীব সিনহা উল্লেখ করেন, আদালতের সব নির্দেশ মেনে ভোট প্রক্রিয়া হয়েছে। তারপরও যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এরপরই সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজীব সিনহার আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘কী আছে হলফনামায়? আদালতের সব নির্দেশ মেনেছি। কিছু ভুল হয়নি। যা হয়েছে অনিচ্ছাকৃত, আদালত অবমাননা হয়নি – এসব লিখেছেন তো?’ রাজীব সিনহার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবে হাকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে জবাব দিতে হবে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 4 =