স্কুল সার্ভিস কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ফের হাইকোর্টে যোগ্য প্রার্থীরা। চিহ্নিত ‘অযোগ্য‘রা স্কুল সার্ভিস কমিশনের নয়া পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, সোমবার এমনটা রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে এসএসসি–র নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আরও কয়েকটি বিধি নিয়ে আপত্তি রয়েছে মামলাকারীদের ৷ আর এখানেই মামলাকারীদের অভিযোগ, এই সব অভিযোগ শোনেননি বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য ৷আর সেই কারণেই মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম৷
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সোমবার যোগ্য চাকরিহারারা তাঁদের আবেদনে চারটি বিষয়ের কথা একক বেঞ্চে জানিয়েছিল যার মধ্যে বলা হয়, অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না ৷ এই আবেদনে সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানান, অযোগ্যরা বসতে পারবেন না পরীক্ষায়। এছাড়া আরও তিনটি দাবি ছিল মামলাকারীদের।তাঁদের আর্জি ছিল নতুন রুল সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত খারিজ করুক আদালত। একইসঙ্গে যোগ্যদের বয়সে ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করুন ডিভিশন বেঞ্চ ৷ অভিজ্ঞতার জন্য যে ১০ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই বিষয়টিও খারিজ করুক আদালত। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীরা এও জানান, নিয়োগটাই সযেখানে ঠিকভাবে হয়নি তাহলে শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর কেন দেওয়া হবে? অতিরিক্ত নম্বরের ফলে অনেক প্রার্থীকে সমস্যায় পড়তে হবে।এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এই বিষয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বুধবার শুনানির সম্ভাবনা ৷
প্রসঙ্গত, বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশে জানিয়েছেন, ‘দাগী‘ বলে চিহ্নিতরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ৷ পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরেও এসএসসি কেন অযোগ্যদের নতুন পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হল তা নিয়ে। এক্ষেত্রে এসএসসি‘র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি ৷ এরই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন পরীক্ষায় বসার আবেদন করেছেন তাঁদের আবেদনপত্র বাতিল করার নির্দেশও দেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য ৷ এদিকে যোগ্য চাকরিহারা প্রার্থীদের বক্তব্য, ‘এখনও একাধিক আপত্তিকর বিষয় রয়েছে ৷ সেই বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ করেনি সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ ওই আপত্তিগুলি শোনার পর নির্দেশ দিক ডিভিশন বেঞ্চ ৷’