নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল যুবর সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। এরপরই গত শুক্রবার লাগাতার ইডি-র তরফ থেকে লাগাতার ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। যদিও ইডি আধিকারিকরা সায়নীর উত্তরে সন্তুষ্ট নন বলেই সূত্রের খবর। ফলে, ৫ই জুলাই আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এইবার ইডির নজরে মূলত সায়নীর অ্যাকাউন্টে থাকা ১৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৯৫ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের সময় আসানসোল দক্ষিণের তারকা প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের তরফে দাঁড়ান সায়নী। নির্বাচন কমিশনে যে মনোনয়ন তিনি জমা দিয়েছেন তা এখন গোয়েন্দাদের হাতে। ২০২১ সালে মনোনয়নে উল্লেখ রয়েছে, তৃণমূল যুব নেত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। সেই টাকার উৎস কী সেই সম্পর্কে আগামী জিজ্ঞাসাবাদে জানতে চাইবে ইডি। শুধু মনোনয়ন নয়, ইডি-র নজরে রয়েছে সায়নীর অ্যাকাউন্টে থাকে ১৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৯৫ টাকা। আগের বারের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই গোয়েন্দারা সেই টাকার উৎস জানতে চেয়েছিলেন বলে খবর। তার উত্তরে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন ওই টাকা তাঁর ও পরিবারের জমানো। এদিকে নির্বাচনী হলফনামায় লেখা, ১৯ লক্ষ টাকা সায়নী ঘোষের মায়ের। তাঁর থেকেই ঋণ নিয়েছিলেন। ফলত, দু’জায়গায় দু’রকম কথা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সায়নী ঘোষের মায়ের এই ১৯ লক্ষ টাকারও উৎস কী তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা। তিনি আয়কর জমা দিয়েছেন কি না তারও খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকরা মনোনয়ন পত্রে উল্লেখ থাকা সম্পত্তির বাইরে তৃণমূল নেত্রীর আরও কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তার খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। এমনকী নির্বাচনী প্রচারে খরচের হিসাবও মিলিয়ে দেখছেন তাঁরা।