সিবিআই-এর হাতে তদন্তের ভার স্থানান্তরিত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ধোঁয়াশা কাটেনি আরজি কর ঘটনার।আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সেই তিমিরেই। আর এই পরিস্থিতিতে তবুও সিবিআইয়ের দিকেই যেন তাকিয়ে রয়েছেন এই জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, বিচারের দাবি থেকে এতটুকুও নড়বেন না।একইসঙ্গে এও জানাচ্ছেন, ‘অস্বচ্ছতার কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া কলকাতা পুলিশ থেকে সিবিআই-এ স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেও আমাদের যে ন্যায়বিচারের দাবি ছিল তা আদৌ পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার আগের দিনে যখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমেছিলেন, ঠিক সেই রাতেই পরিকল্পিতভাবে আরজি কর-এ জঘন্য হামলা চালানো হয়। ’
আদতে এই আক্রমণ ছিল বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে সে দিন আরজি করের নার্সদেরও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান এই জুনিয়র চিকিৎসকেরা।সঙ্গে তাঁরা এও জানাতে ভোলেননি, ‘এমারজেন্সি রুমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলন থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার একটি বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল আর কিছুই না।’
এর পরই জুনিয়র ডকটরস ফ্রন্টের তরফ থেকে এও জানানো হয়, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ বলে যে রব উঠেছে টা আদতেই সত্যি নয়। তাঁর কথায়, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, আমাদের অধ্যাপকরা দক্ষতার সঙ্গে আউটডোর এবং এমারজেন্সি সামলাচ্ছেন। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপোস করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে তাঁরা এও জানান, ‘কোনও ক্ষতিপূরণ কখনওই একটি হারানো জীবনকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না এবং আমরা এ ব্যাপারে আমরা নিহতের পিতামাতার সিদ্ধান্তের পাশে আছি। পরিশেষে, আমরা ভারতের নাগরিকদের অনুরোধ করছি চলমান ঘটনা সম্পর্কে কোনো মিথ্যা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন করুন। আমরা পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট গঠন করতে একত্রিত হয়েছি যারা ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।’