এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন শুধুমাত্র দুর্নীতি নিয়ে নয়, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা, ছাত্র সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিচারপতি বসুর এজলাসে। আর এবার শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে।
চাকরির দাবিতে বছরের পর বছর রোদ-জল মাথায় নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি মেলেনি। বদলে চাকরি করছেন অযোগ্যরা। এমন অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় সর্বস্তরের নিয়োগের ক্ষেত্রেই। আর এই ইস্যুতে আদালতে একের পর এক মামলা চলছে।সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরাও পড়েছেন বঙ্গরাজনীতির বড় থেকে মাঝারি নানা ধরনের মাথারা।এদিকে এই চাকরি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও করতে দেখা গেছে শিক্ষামন্ত্রী থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদেরও। এই সমস্যায় এগিয়ে এসেছেন শাসকদলের অন্যান্য নেতারাও।কিন্তু আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না চাকরি প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁরাও চাকরির দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে এবার একটা বড় প্রশ্ন কিন্তু আদালতে উঠে গেল। আর তা হল, চাকরিটা হলে শিক্ষকের প্রকৃত ভূমিকা পালন তাঁরা করতে পারবেন কি না তা নিয়েও। আর এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্য সরকারের তৈরি করা সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে মামলা উঠেছিল বিচারপতি বসুর এজলাসে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘এই পোস্টটা তৈরি হয়েছে চাকুরিহারাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। ওরা প্রতিদিন কুমিরের কান্না কাঁদছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই, কারণ তারা চাকরি পাওয়ার জন্য ঝুলোঝুলি করবে। এরপর বলবে আমাকে বাড়ির কাছে বদলি দাও। আজ উৎসশ্রী, কাল শুভশ্রী বলে আবেদন করবে। বেতন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবে। আসল কাজ করবে না, পড়াবে না।’