এলিয়ানের অস্তিত্ব জানা পরও তথ্য গোপন করছে মার্কিন সরকার, দাবি প্রাক্তন সেনা অফিসারের

ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়ানের অস্তিত্ব রয়েছে এই তথ্য জানার পরও তা গোপন করছে সরকার। প্রাক্তন সেনা অফিসারের এহেন বিস্ফোরক দাবিত তোলপাড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার সংসদ তথা কংগ্রেসে এই নিয়ে আলোচনা ও সরকার পক্ষের জবাব চেয়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের।

বুধবার অজানা উড়ন্ত বস্তু বা ইএফও অর্থাৎ আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন মার্কিন সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডেভিড গ্রুশ। তখনই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্যও সামনে আনেন তিনি। ইউএফও-কে এলিয়ানদের স্পেশ শিপ বা মহাকাশযান বলে উল্লেখ করেন গ্রুশ। সঙ্গে এও জানান, এলিয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

উল্লেখ্য ফৌজে কর্মরত থাকাকালীন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের হয়েও কিছুদিন কাজ করেন গ্রুশ। ওই সময় তাঁকে ইউএফও-র অস্তিত্ব সম্পর্কে খোঁজ খবর করতে বলা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেন তিনি। শুধু বুধবারই নয়, এর আগেও তিনি জানিয়েছেন,  মার্কিন সেনা একটি বিধ্বস্ত ইউএফও উদ্ধার করেছে। সেটির থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহগুলি মানুষের নয়। পরবর্তীকালে দেহগুলি জীববিজ্ঞানীরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এখনও অনেকে এখনও এই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সেনার তরফে ইউএফও নিয়ে কাজ করার জন্য কে বা কারা তাঁকে নির্দেশে দিয়েছিল, বুধবার তা স্পষ্ট করেননি গ্রুশ। তাছাড়া এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তিনি কোথায় জমা দিয়েছেন, তাও জানা যায়নি।

তবে গ্রুশ একা নন। এর আগেও একাধিক মার্কিন সেনা অফিসার ইউএফও এবং  এলিয়ান নিয়ে একাধিক দাবি করেছেন। ২০০৪-এ প্রাক্তন নৌকমান্ডার ডেভিড ফ্রেভার আকাশে অদ্ভুত বস্তু দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। ওই সময় যুদ্ধজাহাজ নিয়ে আটলান্টিকে ছিলেন তিনি। এছাড়া রায়ান গ্রেভস নামের নৌবাহিনীর পাইলটও একই দাবি করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই এলিয়ান ও ইউএফও নিয়ে বিশ্বজুড়ে জল্পনা চলছে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। আর এবিষয়ে একজোট হয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও বিরোধী রিপাবলিকানরা। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকলে তা মার্কিন মহাফেজখানা থেকে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ওই তথ্য হাতে পেতে উঠেছে আইন বদলের দাবিও। এমনই এক প্রেক্ষিতে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনা অফিসারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + fourteen =