নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে জট আরও ঘোরালো হচ্ছিল। এরইমধ্যে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে শপথ নেওয়ার জন্য ক্ষমতা প্রদান করে ফেলেন রাজ্যপাল। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। তবে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণে আর কোনও বাধা আপাত দৃষ্টিতে রইল না। বৃহস্পতিবার রাতেই সবুজ সংকেত দেয় রাজভবন। তবে রাজভবনের এই সিদ্ধান্তেও কোথাও একটা কাঁটা থেকেই যাচ্ছে। রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে ফুঁসছেন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার। আশিসবাবু স্পষ্টতই এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে না করে দেন। সাফ জানান, ‘কলকাতায় স্পিকার রয়েছেন, তিনি থাকতে আমি কেন? এটা আমি গ্রহণ করছি না।’ এরইমধ্যে শুক্রবার দুপুর ২টো তে বিধানসভায় বসছে বিশেষ অধিবেশন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, বিধানসভার হাউস আর স্ট্যান্ডিং কমিটি মিলিয়ে যে ৪১ কমিটি রয়েছে, তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে ৮ জুলাই। ফলে সেই কমিটি গুলোর বিষয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবারের অধিবেশন। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজ্যপালের উপরে শপথ নির্ভরতা কাটাতেই শুক্রবারের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। বিধানসভা কর্তৃপক্ষের অনেকে বলছেন, অধিবেশন চললে সেখানে শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার। ফলে রাজ্যপাল নির্ভরতা কাটাতেই এই বিশেষ অধিবেশন।
ঘটনাচক্রে, এই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো ৪ মিনিটে প্রকাশ্যে আসার পরে প্রায় ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ব্যবধানে (রাত ৮.২৬ মিনিট) রাজ্যপাল শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকার ক্ষমতা দিয়েছেন, তা সামনে আসে। এক্ষেত্রে মনে রাখা ভাল, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্পিকারের মন্তব্য কিন্তু ছিল যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। স্পষ্টই বলেছিলেন, ‘রাজ্যপালকে ছাড়া বিধানসভা হেল্পলেস এটা ভাবার কোনও কারণ