চাকরি ঠেকাতে মামলা করে অহেতুক জটিলতা তৈরি করছে বিরোধীরা। অথচ সরকার চায় চাকরি দিতে। আর এই মামলা করতেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই তোলা হয়েছে বিপুল টাকা। সেই টাকাতেই করা হয়েছে একের পর এক মামলা। আর এই মামলার জেরেই আটকে গিয়েছে চাকরি। এদিনই এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শোনা গেল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। শুধু অভিযোগই নয়, নিজের বক্তব্য যে নির্ভুল তার জন্য সামনে আনলেন হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশটও। একইসঙ্গে এই অর্থ সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি এও জানান, আইনজীবীদের একাংশ যাঁরা মূলত বিরোধী শিবিরের তাঁরাই এই কাজ করে অগুণতি টাকা সংগ্রহ করছেন। একাধিক গ্রুপ থেকে এই অভিযোগ এসেছিল।
তবে বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই নিট, নেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদ্ধ করতে ছাড়েনন কুণাল। তারপরই একহাত নান বাংলার বিরোধীদের। বলেন, ‘নিট, এবং নেট দুটোই দুর্নীতির ঘূর্ণাবর্তে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করতে চলেছে। পরীক্ষায় অনিময়, দুর্নীতি, টাকার খেলা, সব অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার চাকরি দিতে চেষ্টা করছে তখন কিছু লোকের ভুলে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে তখন বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে নানারকম মামলা করে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছিল। এখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট সামনে এসেছে। মামলা করে জটিলতা তৈরি করার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে, আগে আমরা এই অভিযোগ পেয়েছিলাম চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় একটি টুইটও করতে দেখা যায় কুণালকে। কুণালের দাবি, ‘২০১৪ বঞ্চিত টেট পাশ হাওড়া বলে একটা গ্রুপ রয়েছে। সেখানে এক আইনজীবীর নাম করে লেখা হয়েছে, আমি তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। সে বলছে ২৫ হাজার টাকা দাও হয়ে যাবে। আর একজন বলছে, সেই আইনজীবী আমার কাছ থেকে চল্লিশ নিয়ছিল মনে হচ্ছে পুরোটাই জলে গেল।’ কুণালের দাবি, এখানেই ফিরদৌস বলে একজনের নাম রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ফিরদৌস যে কেউ হতে পারেন। অনেকে এই নামে থাকতে পারেন। কে এই ফিরদৌস? আমি নির্দিষ্টভাবে কোনও ফিরদৌসকে বলছি না। বা যাঁরা যার মতো ভেবে নেবেন। কিন্তু আমরা তদন্ত চাই। এই গ্রুপ, আগের অভিযোগ থেকে প্রমাণিত হয় চাকরির জটিলতা তৈরির জন্য যে মামলা হয়েছে তা করতে গিয়ে কিছু আইনজীবী বিপুল টাকা তুলেছেন। এটা একটা মামলা কেলাঙ্কারি।’