বাঁশ না খেতে চাইলেও এবার যেচে খান

বাঁশ খাওয়া যে সবসময় মোটেই ভল কথা নয় তা একেবারেই নয়। আক্ষরিক অর্থে বাঁশের আচার বাতের রোগীদের জন্য খুব উপকারী, এমনটাই দাবি অনেকের। অবাক হলেন বাঁশের আচার শুনে। অনেকেই এমন আছেন যাঁরা এখনও এমন আচারের নামই শোনেননি। আসলে বাঁশে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। বাঁশের কাণ্ডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই বাঁশের আচার ও মোরব্বা খেলে শিশুদের উচ্চতা যেমন বাড়ে ঠিক তেমনই বাতের ব্যথার উপশমও হতে পারে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, উত্তরাখণ্ডের বাজারে বাঁশের আচারের চাহিদা প্রচুর।

স্থানীয় উধম সিং নগর জেলার রুদ্রপুর এলাকার ভূরারানির বাসিন্দা গোবিন্দ মুঞ্জাল তার পরিবার নিয়ে দুই বছর আগে ‘অঞ্জনি পিকল সেন্টার’ নামে রাজস্থানী আচারের একটি স্টার্টআপ শুরু করেছিলেন। ভ্রাম্যমান যানে তিনি আচার বিক্রি করতেন এক শহর থেকে অন্য শহরে। ভাল মানের আচার কম দামে বিক্রি করেন বলে সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর বিশেষ চাহিদাও রয়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে রুদ্রপুর, গদরপুর, দীনেশপুর, বাজপুর, কাশিপুর, কিছা, সিতারগঞ্জ, বিলাসপুর, হলদওয়ানি সহ আশেপাশের এলাকায় ৩টি গাড়ির মাধ্যমে আচার বিক্রিও শুরু করেন। শুধু বাঁশের আচার, বাঁশের মোরব্বা-ই নেই সঙ্গে তঁর পসরায় রয়েছে আমলকি মোরাব্বা, আমলকির মিছরি, আপেল মোরব্বা, হরদ মোরাব্বা, গুলকন্দ, আমের চাটনি, আম লাচ্ছা, গাজরের মিছরি, রসুনের আচার, আদা আচার, পাটনা মরিচ, লাল মরিচের চাটনি, গাজরের আচার, গাজরের মিছরি, বেলপাতা মোরব্বা, গাজর মোরব্বা, গাজরের আচার, এমনকী করলার আচারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =