কোনও চুরির ক্ষেত্রেই আর অবহেলা নয়। সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে ব্যবস্থা। কারণ, ছোট চুরির ঘটনা থেকেই ঘটে যেতে পারে গণধোলাইয়ের ঘটনা। গণধোলাই রুখতে এই নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। কলকাতার প্রত্যেকটি থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে অপরাধ দমন সংক্রান্ত বৈঠকে পুলিশ কমিশনার জানান, কোনও এলাকায় পরপর চুরি হচ্ছে কি না, থানার ওসিদের নজর রাখতে হবে। চুরির ঘটনায় শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে জেনারেল ডায়েরি করলে চলবে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কারণ, ছোট চুরি থেকেই ঘটে যেতে পারে গণধোলাইয়ের মতো বড় ঘটনা। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, ফুটপাথের একপাশেই যাতে হকাররা বসেন, সেদিকে থানার ওসিদের কড়া নজর দিতে হবে। রাতে কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাথে ভবঘুরে ও গৃহহীনরা থাকেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ‘নাইট শেল্টার’-এ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে পুলিশকে আরও কড়া হতে হবে। শুধু ‘এসওপি’মানা হচ্ছে বললে হবে না। প্রথমবার কোনও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠলে পুরসভাকে জানিয়ে পুরসভার নির্দেশমতো ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফের একই জায়গায় বেআইনি নির্মাণ হলে আর পুরসভার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। থানার ওসিরা নিজেরাই গিয়ে বেআইনি নির্মাণের অংশ ভেঙে ফেলতে পারবেন। যদিও কোনও ওসি তা না করেন, তবে সেই দায়ভার তাঁকেই নিতে হবে। সম্প্রতি কলকাতায় একাধিক জায়গায় গুলি চলেছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, শহরের কোথাও যেন গুলি না চলে। তার জন্য দাগী অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এদিন তিনটি সাইবার অপরাধের মামলাকে উদাহরণ তুলে ধরে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার।