তিলোত্তমার জন্য বিচার চাওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগেও সরব সব মহল। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি মুখ খুলছেন না সিনিয়র চিকিৎসকেরাও। আন্দোলনের সঙ্গে থাকার বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা। দিনের পর দিন যে হাসপাতালে বেনিয়ম চলেছে সে কথাই কার্যত স্পষ্ট হল ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক দেবব্রত দাসের কথায়।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আমলে স্বৈরাচার চলত বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ছাত্রছাত্রীদের ফেল করানো, পাশ করাতে মোটা টাকা চাওয়া, হাসপাতালের বর্জ্য পাচার, আর্থিক তহবিলে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরূপ, বেআইনি পার্কিং সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি কনভেনশনে ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক দেবব্রত দাসকে বলতে শোনা গেল, হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও জড়িয়ে যাচ্ছিলেন অনৈতিক কাজে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে ওই চিকিৎসককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গত চার বছর ধরে অনেক অনৈতিক কাজের সঙ্গে আমিও জড়িত। আমার মনে হয়, এখানে যারা ফ্যাকাল্টি আছে, তারাও জড়িত। কিন্তু আমরা ভয় পাচ্ছিলাম বলতে যে এটা ভুল হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত মেয়েটা প্রাণ দিয়ে বোঝাল যে এবার বলতে হবে- ‘এটা ভুল হচ্ছে, এই লোকটা কালপ্রিট।’
শুধু দেবব্রত দাস নন, আরজি করের নতুন এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্য়ায় জানান, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত থামবে না আন্দোলন। কারও চাপে মাথানত করবেন না তিনি।