আজ কী ঘটবে সন্দেশখালিতে সেদিকেই নজর সবার

বৃহস্পতিবার কি হতে চলেছে সন্দেশখালিতে আপাতত এই প্রশ্নই এখন ঘোরা ফেরা করছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল থেকে সর্বস্তরেই। কারণ বুধবার সেই দুপুর থেকে টানা সন্দেশখালিতে অ্যাকশন মোডে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। শেখ শাহজাহানের ডেরায় অভিযান চালাতে গিয়ে ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ইডির অফিসাররা। এই ঘটনার ৪৭ দিন পর সন্দেশখালিতে যান রাজীব কুমার। মূলত, নদী সংলগ্ন দ্বীপগুলিতে নজরদারি চালান তিনি। এরপর ফিরে আসেন পিড্ববলিউ-ডির বাংলোয়।রাত্রি ১০টা নাগাদ ফের বের হন তিনি কখনও নদীপথে লঞ্চে, কখনও আবার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরতে দেখা গেছে তাঁকে। কখনও টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে ঘুরতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে বাইকে চড়়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন কয়েকজন পুলিশও।শুধু তাই নয় রাতেও চলে টহল। এদিকে এসপি-র নেতৃত্বে পুলিশ গোটা এলাকায় টহল দেয়। পরবর্তীকালে পুলিশকে গভীর রাত পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় মূলত তিন চারটি জায়গায়। এমনকী বসানো হয় সিসিটিভিও।আর পুলিশের এই অতিসক্রিয় ভূমিকা দেখে কার্যত সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে জল্পনা।

সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় স্থানীয়রা বারবার কাঠগড়ায় তুলেছেন শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার ও শেখ শাহজাহানকে। এর মধ্যে শাহজাহানের নাম আবার জড়িয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। আর তাৎই জেরে ইডি-র নজরে পড়েছেন এই তৃণমূল নেতা। আর যেদিন থেকে গোয়েন্দারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে ভেবে রেখেছিলেন, সেই দিন থেকেই বেপাত্তা তিনি। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে কোথায় শাহাজাহান বা কেন তাঁকে ধরতে পারা যাচ্ছে না তা নিয়েই। এই ইস্যুতেই বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল তো আবার বলেছেন, ‘শাহজাহান সন্দেশখালিতে আছে। ছয় জনকে নিয়ে স্পিড বোটে করে এসে ওই এলাকায় নেমেছিলেন। তারপর লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচির চোটে তাঁরা চলে গিয়েছেন। ওখানে একটা জঙ্গল আছে, সেই জঙ্গলের মধ্যে চলে গিয়েছেন।’ এমনকী, সন্দেশখালির একাংশ জনগণের একাংশের মুখেও শোনা গেছে এই একই কথা।

এদিকে বুধবার থেকেই ডিজি বারবার আশ্বাস দিয়েছেন আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সেই বৈঠক থেকে কোনও একটি বিষয় সম্বন্ধে জানানো হবে। সেক্ষেত্র তাঁর ঘোষণা কী হবে সেই নিয়ে বাড়ছে কৌতুহল। অপরদিকে, হঠাৎ করেই সন্দেশখালিতে রাজীব কুমারের পৌঁছনো। তবে পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা দেখে সন্দেশখালির সাধারণ বাসিন্দারা আশায় বুক বাঁধছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − fourteen =