মাধ্যমিকে কোন কারণে বাতিল হতে পরীক্ষার্থী, জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

পরীক্ষা শুরু ১০ ফেব্রুয়ারি। হাতে আর মাত্র তিনটে দিন। এদিকে দিন যতো এগোচ্ছে পরীক্ষার ততই যেন উদ্বেগ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কখনও  অ্যাডমিটের জট তো আবার কখনও ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষা পরিচালনা বয়কটের হুঁশিয়ারি। এদিকে ৯ তারিখের মধ্যে ‘বঞ্চিত’ পড়ুয়াদের কাছে অ্যাডমিট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ বৃহস্পতিবারই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবথেকে বড় মাথা ব্য়থার কারণ, সাম্প্রতিককালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিকবার নানা ধরনের গোলযোগের অভিযোগ। সেখানে দেদার টোকাটুকি থেকে ‘প্রশ্নফাঁস’, বাদ যায়নি কিছুই। উদ্বেগের আবহে সবটাই কড়া হাতে মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

২৬৮৩ পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার রাজ্যে পরীক্ষা দিতে চলেছে ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান পর্ষদ সভাপতি। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ ছাত্র, ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন ছাত্রী। তবে প্রশ্নফাঁস ও টোকাটুকি রুখতে বেশ কিছু জেলায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কোনও স্মার্ট গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা হলে বসলে পরীক্ষা বাতিল হবে। সাফ জানাচ্ছে পর্ষদ। টয়লেটেও রাখা হবে বিশেষ নজর। টয়লেটে স্মার্ট গ্যাজেট লুকিয়ে রাখে অনেকে। তাই সেখানে আলাদা করে নজরদারি চলবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও অভিভাবক প্রবেশ করতে পারবেন না।  প্রশ্নফাঁস ও টুকলি রুখতে পর্ষদের টিম ঘুরবে স্কুলে স্কুলে। এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি জানান, ‘কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে পরীক্ষা চলার সময় কোনও গ্যাজেট (অ্যাডমিট কার্ডের পাশে দেওয়া নির্দেশিকা) পাওয়া গেলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল হবে।’ এর আগেও এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কীভাবে পুলিশ অ্যাকশন নিয়েছিল, কীভাবে টুকলি চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল এদিন তাও মনে করান পর্ষদ সভাপতি। তবে একসঙ্গে শতাধিক ছাত্রের অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়া নিয়েও এদিন উদ্বেগের সুর শোনা যায় পর্ষদ সভাপতির গলায়। শেষ নতুন করে অ্যাডমিট ইস্যু করা, গোটা প্রক্রিয়াকে ফের সাজানো খুবই চাপের বলে মত তাঁর। এ নিয়ে এদিন তিনি বলেন, সোমবার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তার আগে ১৮১ জন পড়ুয়ার এনরোলমেন্ট হচ্ছে। শোনা যাচ্ছিল ৫০ থেকে ৭০ জন পড়ুয়ার কথা। কিন্তু সংখ্যাটা আসলে ১৮১। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত এই পড়ুয়ারা আবেদন করেছে। তাঁর সাফ দাবি, এই পুরো ঘটনা ঘটেছে স্কুলগুলির দোষেই। তাঁর কথায়, স্কুলের দোষেই পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছিল। সামান্য কটা স্কুলের জন্য এই পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাঁর দাবি, ১৩৬টা স্কুল ঠিক করে কাজ করেনি। তাই এই অবস্থা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + two =