খিদিরপুর এবং গার্ডেনরিচ এলাকায় অবাধে চলছে জলাশয় ভরাট। নজরদারির অভাবে গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। গোটা কলকাতার একাংশ এখন সম্পূর্ণ গ্যাস চেম্বার। শুক্রবার নিজের বিধানসভা এলাকায় খোদ মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলাতেই শোনা গেল এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। আর এর সমাধান খুঁজতে বড় তদন্তের নির্দেশও ইতিমধ্যেই দিয়েছেন কলকাতার মেয়র।
প্রসঙ্গত, ১৫ নম্বর বরোর অধীনে পড়ে কলকাতা পুরসভার খিদিরপুর গার্ডেনরিচ এবং মেটিয়াবুরুজের গোটা এলাকাই। সেই এলাকার কতগুলো জলাশয় ভরাট হয়েছে, কতগুলি জলাশয় আস্ত রয়েছে, কোন জলাশয় ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে দেখা যায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ অর্থাৎ গোটা দক্ষিণ শহরতলি, পূর্ব কলকাতা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দু’ধারে যে অবাধে ভরাট চলছে, সেই বিষয়টি কার্যতা স্বীকার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বরোগুলিতেও তদন্তের নির্দেশ এদিন দিতে দেখা যায় তাঁকে।
এতদিন বিরোধীরা কলকাতার এই দক্ষিণ শহরতলির অংশে যে জলাশয় ভরাট নিয়ে অভিযোগ করে এসেছেন, তা এবার খোদ মেয়রের গলাতে শোনা যেতেই চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্যের পরোক্ষে নাগরিক অসচেতনতা এবং এলাকায় শাসকদলের কর্মীদের একাংশের কারণেই যে ভরাট হচ্ছে তা বুঝিয়ে দেন ফিরহাদ। যে কারণে মেয়রের গলাতে শোনা যায়, তাঁর দলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এই ভরাট সংক্রান্ত ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ এসেছে। সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।