বাংলাদেশের সাংসদ ‘খুনের’ ঘটনায় এবার সামনে এল বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, গত ১৩ মে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর ওই দেহ পচে যাতে গন্ধ না বের হয়, সেইকারণে দেহটিকে কেটে অংশ বিশেষ ফ্রিজেও রাখা হয়। দুই দেশের তদন্তকারী সংস্থার তথ্য আদান-প্রদানের ভিত্তিতে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, বিগত তিন দিন ধরে সাংসদের দেহের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছিল। ১৪ মে, ১৫ মে ও ১৮ মে এই তিনদিনে ধরে সাংসদের দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় সরানোও হয়। সেক্ষেত্রে দু’জন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রে খবর মিলছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই দুই ব্যক্তির কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। ফলে দেহাংশগুলি কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল তা নিয়েও কোনও নিশ্চিত তথ্য নেই পুলিশের হাতে।
এদিকে আবাসনের ভিতরের দিকের এক সিসিটিভি ফুটেজে নজরে এসেছে, লাল রঙের একটি ছোট চারচাকার গাড়ি ঢুকছে আবাসনের সামনে। ওই গাড়িটি আবাসনের বাইরে এসে থামে। সেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের মৃত সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। সিসিটিভি ফুটেজের এই সূত্র ধরেই লাল রঙের ওই গাড়িটিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। গাড়ির মালিক ও গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পেরেছে সাংসদের সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা একে একে বেরিয়ে যান আবাসন থেকে। তবে সাংসদকে আর বের হতে দেখা যায়নি।