কালীঘাটে পুলিশ আধিকারিককে ধাক্কা মারার ঘটনায় সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য

কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! কালীঘাটে রবিবার পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারার ঘটনায় যে সব তথ্য একের পর এক সামনে আসছে তাতে এই আপ্তবাক্যটি মনে পড়াই স্বাভাবিক। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতেই সামনে এল ভয়ঙ্কর সব তথ্য। অভিযুক্ত ভুয়ো তথ্য দিয়ে নিজের পরিচয় গোপনের চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসাই নেই ধৃত এই বাংলাদেশি নাগরিক আজাদ শেখের। অথচ, বছর একচল্লিশের আজাদ ভারতে রয়েছেন  ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে।
আর এখানেই উঠেছে বড় প্রশ্ন যে, যাঁর কাছে ভিসা বা পাসপোর্ট নেই, তিনি কীভাবে খাস কলকাতায় এতদিন ধরে লুকিয়ে থাকলেন তা নিয়েও। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য় অনুসারে,  আজাদ শেখ তাঁর প্রকৃত পরিচয় গোপন করে সরকারি কর্মীদের সামনে ভুয়ো তথ্য জমা দেন। দাবি করেন, তিনি উত্তর ২৪ পরগনার খাসসনকদাহর বাসিন্দা। তবে পরে তাঁর প্রকৃত ঠিকানা জানতে পারে পুলিশ। আদতে সে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারির বাসিন্দা।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর পর যে প্রশ্ন সামনে আসে তাতে কীভাবে ওই ব্যক্তি ভারতে এসে আস্তানা বানালেন তা নিয়েও। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, এই ভুয়ো পরিচয়ে প্রাইভেট গাড়িই বা পেলেন কীভাবে বা ওই গাড়ির নথিপত্র কার নামে তারও খোঁজ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সঙ্গে এও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, এই  গাড়ির নথিপত্রে আদৌ আজাদের নাম আছে, নাকি অন্য কারও সহযোগিতায় এই গাড়ি তাঁর হাতে এসেছে তা নিয়েও। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠেছে, আজাদ কীভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে এলেন, কারা তাঁকে এখানে আশ্রয় দিল এবং তাঁর দীর্ঘদিনের ভারতবাসের পেছনে কোনও সংগঠিত চক্র কাজ করেছে কি না সেটাই এখন খুঁজে বার করতে চাইছে পুলিশ।
একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্যে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, কোনও ধরনের সন্দেহজনক অনুপ্রবেশের খবর থাকলে তা পুলিশের কাছে জানাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 4 =