চুরির অপবাদ দিয়ে নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। এবার এই ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আক্রান্ত কারখানার মালিক শাহেনশাহ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে,এক যোগে তিনটি থানার পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল। শেষমেশ গ্রেফতার সুদূর মুম্বাই থেকে। তবে মুম্বইয়ের কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে, সে ব্য়াপারে পুলিশের কাছ থেকে কোনও তথ্য মেলেনি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দু’জনকে। ফলে এই নিয়ে গ্রেপ্তারির সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই একটি কারখানার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ৩৬৫x২৪। এদিকে এই ভিডিওতে নজরে আসে, এক নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় ভয়াবহতায় কেঁপে ওঠে রাজ্য। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে। জানা যায়, ওই নাবালক আদতে ইসলামপুরের বাসিন্দা। তার পরিবারকে ৮-১০ হাজার টাকার টোপ দিয়ে কারখানায় কাজের জন্য এনেছিলেন শাহেনশাহ যেখানে তাঁর কারখানায় জিন্সের প্যান্ট রং করা হয়। সেখানেই নিখোঁজ নাবালক ও তার দাদা কাজ করত। তবে ঘটনার দিন নাবালকের দাদাও অত্যাচারিত হয়। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই বিষয়টি সামনে আনে। এরপরই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা ঘটনার সময়ে ওই কারখানাতেই উপস্থিত ছিল। এদিকে, ধৃত ২ জনের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের মধ্যে একজন দাবি করে, মারধরের পর নাবালক কারখানা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। ধৃত অপর একজন জানিয়েছে, মারধরের পর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই লোকেশন নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। শাহেনশাহর এই গ্রেপ্তারির পর নাবালকের খোঁজ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ।

