ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ খেজুরির দুই মৃতের পরিবার

খেজুরিতে মেলা দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুজিৎ দাস ও সুধীর পাইকের। এই ঘটনায় এবার আদালতের দ্বারস্থ মৃতদের পরিবার। আদালতে তাঁদের তরফ থেকে আর্জি জানানো হয়, নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার। এরই পাশাপাশি আবেদন জানানো হয় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেরও। হাইকোর্টে আবেদনে তাঁরা জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।  বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি এলাকায় মেলা দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর তেইশের সুজিৎ দাস ও বছর পঁয়ষট্টির সুধীর পাইকের। এই ২ জনকে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। খুনের অভিযোগ করে মৃতদের পরিবারও। তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানায়, মেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর কাঁথি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভেন্দ্র কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে।

এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ২ জনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবার খেজুরি বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। খেজুরিতে একটি মিছিলেও হাঁটতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঘটনায় শুভেন্দুর দাবি, এক ডাক্তার ফোন করে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করে জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, যখন অকুস্থলে দেহ পড়েছিল কেন বাড়ির লোককে না জানিয়ে পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে গেল কী করে তা নিয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =