বাড়ির সামনে বসে মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিগৃহীত পরিবার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

বাড়ির সামনে মদ খাওয়া নিয়ে বচসা। তার প্রতিবাদ করায় একটি পরিবারের সব সদস্যকেই মারধরের অভিযোগ উঠল রাজারহাটের ভাতুরিয়া এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা কল্যাণ লোধের শ্যালক হীরক মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা থেকে রেয়াত পায়নি ৬ বছরের শিশুও। শুধু মারধরই নয়, বাড়ির মহিলা সদস্যদের নিগ্রহের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল নেতার শ্যালক ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত চক্রবর্তী পরিবার। তবে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলেই দাবি নিগৃহীত পরিবারের। স্থানীয় সূত্রের খবর,  রবিবার রাতে রাজারহাট ভাতুড়িয়া এলাকায় বাড়ির সামনে বসে ছিল মদের আসর। পরিবারের এক সদস্য জানান, বাড়ির ছোট ছেলে কুশল চক্রবর্তীর প্রথমে প্রতিবাদ করেন। তারপর মদের আসর থেকে তাঁকে গালিগালাজ করা হতে থাকে। এই ঘটনায় কুশলের মা জানান, ‘ আমার ছেলে ডিউটি করে বাড়ি ফিরছিল। ওরা আমার বাড়ির সামনেই বসে মদ খাচ্ছিল। সে সময়ে ওকে গালিগালাজ করতে থাকে। সেটা শুনে আমার বড় ছেলেও যায় প্রতিবাদ করতে। ওকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। আমি সামলাতে যাই। ধাক্কাধাক্কিতে হীরকের মোবাইল পড়ে যায়। এরপর ওরা আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে মারে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার গায়ের ওপর উঠে দাবিয়েছে। আমার বৌমাকেও হেনস্থা করেছে। আমার দুই ছেলে, স্বামী সবাইকে মারধর করেছে। আমাদের বলছে পাড়া ছাড়া করে দেবে। মাথায় ৬টা সেলাই পড়েছে।’

এই ঘটনায় অভিযোগ উঠছে, রাজারহাটের তৃণমূল নেতা কল্যাণ লোধের শ্যালক-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতেই আক্রান্ত কুশল চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাজারহাট থানায় যায়। এরপর থেকে বিচার পাওয়ার আশায় থানার সামনে অপেক্ষায় আক্রান্ত গোটা পরিবার। এদিকে রাজারহাটের তৃণমূল নেতা কল্যাণ লোধ অবশ্য জানান, ‘আমার খুড়তুতো শ্যালক। তাঁর দায়িত্ব তো আর আমি নিতে পারছি না। কে কোথায় মদ খেয়ে কী করে বেড়াবে, অন্যায় করে আইনত পদক্ষেপ করবেই।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =