ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ। রোগীর পরিজনদের লাঠিপেটা করার ঘটনায় উত্তপ্ত হয় ন্যাশানাল মেডিক্যালের চত্বর। ঘটনার সূত্রপাত, শাহনাজ বেগম নামে এক মহিলা রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার ঘটনায়। বুকে ব্যথা নিয়ে ন্যাশানাল মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন শাহনাজ বেগম। ছিলেন এমার্জেন্সি অজারভেশন ওয়ার্ডে। সেখানেই এদিন তাঁর হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরই দেখা যায় হাত একেবারে ফুলে যাচ্ছে। এরপর ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন ওই মহিলা। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অতিরিক্ত ফুলে গিয়ে ব্যথা কেন হচ্ছে তা এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডের নার্সের কাছে জানতে চেয়েছিলেন শাহনাজের মেয়ে। এ কথা জানতে চাওয়ায় নার্স দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ তোলেন শাহনাজের পরিবারের সদস্যরা। তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। ওয়ার্ডের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় গণ্ডগোল। এই ঝামেলার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু, পুলিশ পুরো ঘটনা না জেনে রোগীর পরিজনদের লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ। লাঠি চালায় সিভিক ভলান্টিয়ারও। পুলিশের লাঠির মার থেকে রেহাই পাননি রোগীও।
রবিবারের ওই ঘটনায় সোমবার এমএসভিপি’র কাছে অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিজনেরা। রোগীর পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, কেন মায়ের হাত ফুলে গিয়েছে বা কেন হাত তুলতে পারছেন না? এই প্রশ্ন নিয়েই তিনি গিয়েছিলেন কর্তব্যরত নার্সের কাছে। কিন্তু, নার্স সেই প্রশ্নের উত্তরে জানান, সরকারি হাসপাতালে এসেছেন কেন? এত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না। পাল্টা রোগীর মেয়ে বলেন, একজন রোগী ব্যথা অনুভব করছেন। কিন্তু আপনি কিছুই বলতে পারছেন না। তাহলে আপনি এখানে আছেন কেন এমন প্রশ্ন করতেই কর্তব্যরত নার্স মেজাজ হারান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ডেকে আনেন। এরপৎই পুলিশ এসে মারধর করে রোগীর পরিবারের সদস্যদের।
এদিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। অন্যদিকে এই ঘটনায় লালবাজারে ই-মেলে অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। এদিকে পুলিশের আবার বক্তব্য রোগীর পরিজনের তরফে প্রথমে এক পুলিশকে ঘুষি মারা হয়। তারপরই তাঁরা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হন। অন্যদিকে ন্যাশানালের ঘটনায় আবার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।