প্রখ্যাত পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা টেকনোর

বর্তমান প্রজন্মের জন্য পকেট ফ্রেন্ডলি স্মার্ট ফোনের সম্ভার নিয়ে হাজির বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট এবং আধুনিক প্রযুক্তির জন্য পরিচিত গ্লোবাল মোবাইল ব্র্যান্ড টেকনো। দামের ফারাক থাকলেও কাজের দিক থেকে অতুলনীয় হবে প্রত্যেকটি ফোন,এমনটাই দাবি সংস্থার সিইও অরিজিত তলাপাত্র। এখানেই শেষ নয়, চমক আরও রয়েছে টেকনোর তরফ থেকে। টেকনো, ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক এবং অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়কে তাদের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও ঘোষণা করল।

পশ্চিমবঙ্গের কৃতি সন্তান, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় তাঁর সিনেমাতে সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং মর্মস্পর্শী গল্প চিত্রায়িত করার জন্য আমজনতার মন ছুঁয়ে চলেছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। শুধু বাংলাই নয়, তাঁর এই কাজ মুগ্ধ করেঠে সমগ্র ভারতবাসীকে। আর এখানেই সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তিনি টেকনো-র মিশনে যেমন সৃজনশীলতা এবং আবেগের মিশেল এনেছেন, তেমনি রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে টেকনো-র আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সাথে যুক্ত করেছেন। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হল ব্যক্তিদের উৎকর্ষের পথে ‘Stop At Nothing’ এবং ডিজিটাল ক্ষমতায়নে উৎসাহিত করা।

এই সংযুক্তির ব্যপারে মন্তব্য করতে গিয়ে টেকনো-র সিইও, অরিজিত তালাপাত্র বলেন, ‘শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে টেকনো পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত উত্সাহিত। একজন দূরদর্শী চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বহুমুখী শিল্পী হিসেবে শিবপ্রসাদের সৃজনশীলতা এবং চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রভাব, প্রযুক্তি ও ডিজাইনের সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার আমাদের মিশনের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। টেকনোর সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের সেই অঙ্গীকারের প্রতীক, যা ব্যক্তি ক্ষমতায়নের জন্য AI-চালিত, রূপান্তরমূলক অভিজ্ঞতা দিতে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।’

টেকনোর তরফ থেকে এমন ঘোষণার পর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানান, ‘টেকনো মোবাইলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এই অংশীদারিত্বে আমি দারুণ উৎসাহিত। অরিজিৎ তালাপাত্র আমার অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু, এবং তাঁর ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হতে পারা আমার কাছে ব্যক্তিগত এবং বিশেষ অনুভূতি। টেকনো কেবল তার উদ্ভাবন এবং নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে স্মার্টফোন অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে তাই না, বরং আমার চলচ্চিত্রের গর্বিত অংশীদারও হয়ে উঠেছে। ফলে এই সহযোগিতা আমার কাছে আরও অর্থবহ হয়ে উঠেছে। আর এ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য একই – মানুষকে অনুপ্রাণিত এবং ক্ষমতায়িত করা। তাই এই যৌথ সফর নিয়ে আমি সত্যিই উৎসাহিত। টেকনোর কাহিনীর অংশ হওয়া, তা সে পর্দার আড়ালেই হোক বা পর্দার সামনে, আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। আমি এই ব্র্যান্ডের ক্রমবর্ধমান বিশ্বাস, সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত উত্কর্ষের উত্তরাধিকার গড়তে অবদান রাখতে আগ্রহী।’

এর পাশাপাশি সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, এই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে টেকনোর নতুন অধ্যায়ে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের চলচ্চিত্র দক্ষতাকে ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এই সমন্বয় চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তিকে একসাথে মিশিয়ে ব্যক্তিদের অগ্রগামী হতে সাহায্য করবে, যা একটি সীমাহীন সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করবে।’ পাশাপাশি সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে স্মার্টফোনের ব্যবহার ২০১৮ সালের ২৭.৭% থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৬৫.৭%-তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। টেকনো এই পরিবর্তনকে আরও এগিয়ে নিতে চায়, উন্নত প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে আসার মাধ্যমে মানুষকে নতুন সৃজনশীল পথ অন্বেষণ করতে এবং ক্রমবর্ধমান সংযুক্ত বিশ্বে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে সক্ষম করবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 18 =