মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের জন্যে ফ্যান ইভেন্টের আয়োজন স্কেচার্সের

কলকাতা, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫: কমফোর্ট টেকনোলজি কোম্পানি®️ স্কেচার্স মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস দলের অধিনায়ক শুভাশিস বোসের সঙ্গে এক এক্সক্লুসিভ মিট-অ্যান্ড-গ্রিট ইভেন্টের আয়োজন করেছিল। এদিনের এই ইভেন্টে দলের অধিনায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আশিস রাই, আশিক কুরুনিয়ান, দীপক ট্যাংরি আর লিস্টন কোলাসো। এই ইভেন্ট আয়োজিত হয় দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি মলে। এখানে আদানপ্রদানভিত্তিক স্কেচার্স ফুটবলের অ্যাকটিভেশনও দেওয়া হচ্ছিল, যেখানে ভক্তরা তাঁদের নায়কদের পাশে দাঁড়িয়ে ফুটবলে নিজেদের পারদর্শিতা দেখানোর সারাজীবন মনে রাখার মত সুযোগ পেলেন।

১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মোহনবাগান ক্লাব ইন্ডিয়ান সুপার লিগ অর্থাৎ আইএসএল-এর এক বিশিষ্ট দল এবং পৃথিবীর প্রাচীনতম ফুটবল ক্লাবগুলোর অন্যতম। এই নাম ভারতীয় ফুটবল ক্লাবগুলোর উত্তরাধিকারের সঙ্গে সমার্থক, কারণ এই দল এদেশের খেলাধুলোকে আকার দিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল এবং বহু প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

এই ইভেন্ট সম্পর্কে রাহুল বীরা, স্কেচার্স সাউথ এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সিইও, বললেন “এই মিট-অ্যান্ড-গ্রিট স্কেচার্সের পক্ষে এক দারুণ সুযোগ ছিল ফুটবল তারকাদের সঙ্গে ভক্তদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের জন্যে এরকম উদ্দীপনা আর সমর্থন খুব আশাব্যঞ্জক এবং আমরা এই উদযাপনের অংশ হতে পেরে গর্বিত। এই ধরনের ইভেন্ট ভক্তদের একটা অনন্য সুযোগ দেয় আমাদের উদ্ভাবনীমূলক লাইফস্টাইল অ্যান্ড পারফরম্যান্স সম্ভারকে আবিষ্কার করার। এই সম্ভারের প্রত্যেক জোড়ায় স্কেচার্স জুতোর নিশ্চিত স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করা যায়।”

মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলও এই ইভেন্টের অংশ হতে পেরে যথেষ্ট  উল্লসিতও। বিনয় চোপড়া, ডিরেক্টর অফ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, বললেন “কলকাতা এমন একটা শহর যেখানে খেলাধুলোর জন্যে, বিশেষ করে ফুটবলের জন্যে অতুলনীয় আবেগ রয়েছে। এখানে মোহনবাগানের প্রতিনিধিত্ব করা সৌভাগ্যের বিষয়, কারণ এখানে ফ্যানদের উদ্দীপনা আর একনিষ্ঠতার জুড়ি মেলে না। এই ইভেন্টে আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করা সত্যিই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। তাঁরাই আমাদের দলের হৃদস্পন্দন আর তাঁদের আবেগই আমাদের দলকে প্রত্যেকবার মাঠে নামার সময়ে অনুপ্রেরণা দেয়। স্কেচার্স তাঁদের সঙ্গে আমাদের এক জায়গায় আনার মত এই প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করে এক অবিশ্বাস্য কাজ করেছে। এই আদানপ্রদানগুলো একটা খেলাকে ছাড়িয়ে অনেকদূর যায়। আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা আসলে কে এবং দলটা এত মানুষের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

এর পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা স্কেচার্সের সাম্প্রতিকতম পারফরম্যান্স এবং লাইফস্টাইল সম্ভার একান্তে এক নজর দেখতে পেলেন। এই তালিকায় আছে উদ্ভাবনীমূলক কমফর্ট প্রযুক্তি, যেখানে ভক্তরা নিজেদের ফুটবলের বহুমুখি দুনিয়ায় মগ্ন করে ফেলার পাশাপাশি একমাত্র স্কেচার্স ব্র্যান্ডেই পাওয়া যায় এমন অত্যাধুনিক উদ্ভাবনের অভিজ্ঞতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 1 =